আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্র জুয়েলকে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩২ PM , আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩২ PM
ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দলের অভিযানে আটক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা জহির হাসান জুয়েলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকেলের অভিযানে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মূলত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাকে আটক করা হয়েছিল জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই আটক করতে পারি।
এর আগে বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল।
এ অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েলকে আটক করা হয়। ঢাকা কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা।
র্যাব ও ডিবির যৌথ অভিযানে আটক ওই শিক্ষার্থীর নাম জহির হাসান জুয়েল। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে নাহিদ নিহত হওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত হিসেবে শনাক্ত ইমন এই আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তবে অভিযানের সময় ইমন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ওই ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, শুনেছি ছাত্রাবাসে ডিবি ও র্যাব সদস্যরা এসেছিলেন। এসময় দুটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না সে সম্পর্কে জানি না।
গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা হলেন ডেলিভারিম্যান নাহিদ ও দোকান কর্মচারী মোরসালিন।