হিজাব নয়, স্কুলড্রেস না পরায় মারধর: তদন্ত কমিটি

তদন্তে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের মারধরের সত্যতা পায়নি কমিটি
তদন্তে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের মারধরের সত্যতা পায়নি কমিটি  © ফাইল ছবি

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে হিজাব পরার কারণে ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠে। তবে ছাত্রীদের পিটুনির সঙ্গে হিজাবের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। বরং বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক (স্কুলড্রেস) পরে না আসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পিটুনি দেয়া হয়েছিল।

সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। স্কুলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য গুজব ছড়িয়ে শিক্ষিকা আমোদিনি পালের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের উসকে দেয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের পিটুনি দেয়া হয়েছিল নির্ধারিত পোশাক না পরায়। এই ঘটনায় হিজাব বিতর্কের অন্তরালে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বন্দ্ব ও শিক্ষকদের মধ্যকার বিরোধই এ ঘটনার মূল কারণ বলেও উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন: নওগাঁর স্কুলে হিজাবকাণ্ডের পেছনে কী?

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরে ইউএনও মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মূলত স্কুল ড্রেস না পড়ার কারণে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষক বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল। হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে, এমন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত বুধবার ওই বিদ্যালয়ে মুসলিম ছাত্রী ছাড়াও মুসলিম ছাত্র ও সনাতন (হিন্দু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) ধর্মাবলম্বী ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস পরে না আসার জন্য বেত্রাঘাত করেন দুই শিক্ষক। তবে শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে হিজাব পরার কারণে ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে।

এরপর বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান মহাদেবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল মালেক বাকি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আজ রাত আটটার দিকে ইউএনও মিজানুর রহমানের কাছে চার পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।


সর্বশেষ সংবাদ