অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বাংলাদেশের বেশি শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছি: নওফেল

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  © টিডিসি ফটো

আমরা যত শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছি পৃথিবীর অনেক দেশের এত বিশাল জনসংখ্যাও নেই। এখন পর্যন্ত দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ ভাগকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এদের মধ্যে আমরা গতকাল (রবিবার) পর্যন্ত ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৭ জনকে অর্থাৎ ৬৪ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি।

আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, টিকা সংকটের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশই এখনও টিকা দিতে পারছে না। সেখানে আমাদের শিক্ষা পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী একেবারে বিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত টিকা দেওয়ার জন্য তা সংগ্রহ করিয়েছেন। করোনা মহামারির দুর্যোগের মধ্যেও আমাদের দেশে যারা এখনও প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি, তাদের জন্য ফাইজারের মতো দামী টিকা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

নওফেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় সব শিক্ষককে টিকা দিতে পেরেছি; প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা শিক্ষার্থীর ৯০ ভাগকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে টিক দিতে পারছি।’

আরও পড়ুন: সমুদ্রসীমা সংযুক্ত মানচিত্র থাকবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

রবিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকাদান কর্মসূচি জোরদারভাবে চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে সেই কর্মসূচিতে ভাটা পড়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও সংক্রমণের খবর পাইনি।

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ