শাহজালালে রাতের ফ্লাইট বন্ধ, ভোগান্তি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর  © সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ভোগন্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজের জন্য আগামী ৬ মাস রাত ১২টা থেকে সকাল পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা করে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।

শুক্ররার (১০ ডিসেম্বর) থেকে ফ্লাইট ওঠা-নামার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আরও পড়ুন: ফিরছেন মুরাদ, প্রতিরোধের ডাক

প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দিন-রাতের অবশিষ্ট ১৬ ঘণ্টায় ২৪ ঘণ্টার শিডিউল ফ্লাইটের ব্যবস্থাপনা বিড়ম্বনা হচ্ছে। ফ্লাইট শিডিউল মিলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।

বিমানবন্দরে থাকা এক প্রবাসী বলেন, আমাদের বিমানটি আকাশে এক থেকে দেড় ঘণ্টা চক্কর দিয়ে অবশেষে অবতরণ করে। নামার পর একই সঙ্গে দুই-তিনটি ফ্লাইটের যাত্রী ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়ানোয় সেখানে কাঁচাবাজারের মতো জনসমাগমপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এবং আমাদের জিনিসপাতি নিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা লেগেছে।

আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন

তিনি আরও জানান, সময়মতো বিমান ল্যান্ড না করায় তিনি পরিবার-পরিজনের জন্য আগাম ট্রেনের টিকেট কেটে রেখেছিলেন। বিলম্বের কারণে ট্রেন মিস হয়েছে। সবমিলিয়ে আমার ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।

বিভিন্ন কারণে অনেক ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়ছে। কোনো কোনো ফ্লাইট অবতরণের সবুজ সংকেত না পেয়ে আকাশে চক্কর দিয়ে পরে অবতরণ করছে। একই সময়ে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রী নামায় তাদের ইমিগ্রেশনসহ সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সকলকে। দূরদেশ থেকে বিমানবন্দরে নামার পর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ও মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি খুঁজে না পেয়ে যাত্রীরা হৈচৈ করছেন।

অসংখ্য যাত্রীকে মাথায় মালামাল বহন করে বাইরে বের হতে দেখা যায়। যাত্রীদের নিয়ে আসতে স্বজনরা এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তাদের রাস্তা-ঘাটে বসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে স্বজনদের।

আরও পড়ুন: কানাডায় ঢুকতে পারলেন না ডা. মুরাদ

বেবিচকের সূত্র থেকে জানা গেছে, করোনা মহামারির প্রকোপ কমে আসায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ও যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর একদিনে শতাধিক ফ্লাইটে ২০ হাজারের বেশি যাত্রী যাওয়া-আসা করেছে। করোনার আগে স্বাভাবিক সময়েও এত বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত ছিল না।

যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে করণীয় নির্ধারণে বেবিচক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে সভা করেছেন। ওই সভায় ট্রলি সমস্যাার সমাধানে এক সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা ট্রলিলগুলো দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করেতে বলা হয়। তাছাড়া আগামী মাসে নতুন ট্রলি আসছে বলে জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ