কোভিড সহনশীলতা সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ব্লুমবার্গ কর্তৃক প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়
ব্লুমবার্গ কর্তৃক প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাস (কাভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক আঘাত মোকাবিলা সক্ষমতাসহ বিভিন্ন সূচকের বৈশ্বিক র‍্যাংকিংয়ে চার ধাপ উন্নতি করেও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ কর্তৃক প্রকাশিত ‘কোভিড সহনশীলতা’ সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি তাদের আগস্ট মাসের র‍্যাংকিংয়ে বলা হয়েছে, করোনা সহনশীলতার সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে চার ধাপ উন্নিত করে বাংলাদেশ ৫৪ দশমিক ৫ পেয়ে তালিকার ৪৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তান দুই ধাপ করে এগিয়ে তাদের অবস্থান যথাক্রমে ৪২তম ও ৪৩তম। এ ক্ষেত্রে ভারতের সংগ্রহ ৫৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট ও পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবার মান, টিকাদানের পরিসর, মৃত্যুহারসহ মোট ১২টি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম ৫৩টি অর্থনীতি নিয়ে ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স’ বা ‘কোভিড সহনশীল’ আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে তালিকায় ২৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। এরপরের মাসে চার ধাপ এগিয়ে শীর্ষ ২০-এ উঠে আসে। ওই সময় করোনা মোকাবিলা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলো তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরবকেও পেছনে ফেলেছিল বাংলাদেশ।

এরপর করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মুখে পিছিয়ে পড়তে থাকে দেশটি। একপর্যায়ে চলতি বছরের মার্চে ২৮তম, এপ্রিলে ৪১তম, মে মাসে একধাপ এগিয়ে ৪০তম, জুনে ছয় ধাপ পিছিয়ে ৪৬তম ও জুলাইয়ে আরও দুই ধাপ পিছিয়ে ৪৮তম অবস্থানে চলে যায় বাংলাদেশ। তবে সংক্রমণের গতি কমে আসতেই ফের র‍্যাংকিংয়ে এগিয়েছে।

আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে ৮০ দশমিক ১ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার শীর্ষে নরওয়ে। আর ৪২ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে একেবারে তলানিতে মালয়েশিয়া। সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় ২০ ধাপ নিচে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অবস্থান এখন ২৫তম। ১৫ ধাপ পিছিয়ে চীনের অবস্থান ২৪তম। তবে সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। একলাফে ২৬ ধাপ নেমে তারা পৌঁছেছে ২৯তম স্থানে। ১৯ ধাপ নিচে নেমেছে ইসরায়েল। তাদের অবস্থান ৩৬তম।


সর্বশেষ সংবাদ