দেশের মানুষ বইয়ের অনুরাগী ও সংস্কৃতিপ্রেমী: প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
বক্তব্য রাখছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ  © টিডিসি ফটো

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, এবারের বইমেলা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত না হলেও আজ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে । কারণ বাংলাদেশের মানুষ বইয়ের অনুরাগী ও সংস্কৃতিপ্রেমী।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, স্বাধীনতার মাস মার্চ থেকে শুরু করে বাংলা নববর্ষ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত এবারের মেলায় সবাই স্বাস্থ্যসচেতন থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবেন এই প্রত্যাশা করছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির বিরুদ্ধ-বাস্তবে আমরা নির্ধারিত সময়ের পরে হলেও সকলের সহযোগিতায় আজ থেকে আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা ২০২১ আয়োজন করার সংকল্প গ্রহণ করেছি। জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিসরে বইমেলার স্থান বিস্তৃত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, একুশের বইমেলা কেবল বই বিকিকিনির উৎসব নয় বরং তাকে আমাদের জাতিসত্তার শেকড়ের বিষয় বিবেচনা করতে হবে। কারণ ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমির এই বইমেলা শুরুর সময়ে স্লোগন নির্বাচন করা হয়েছিল ‘একুশ আমাদের পরিচয়’।

বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কবিতা-মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্য-ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণা-বেগম আকতার কামাল, অনুবাদ-সুরেশরঞ্জন বসাক, নাটক-রবিউল আলম, শিশুসাহিত্য-আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা-সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান-অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনী-ফেরদৌসী মজুমদার, ফোকলোর মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান।


সর্বশেষ সংবাদ