অবশেষে ভাসানচরে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রথম দল

ভাসান চরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্র
ভাসান চরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্র  © ডয়েচে ভেলে

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শরণাথী শিবির থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ভাসান চরে যাওয়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা। তিনি বলেন, ‘আমরা ভাসানচর পরিদর্শন করে এসেছি। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসান চরে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে।’

কক্সবাজার ও তার বাইরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির কারণে দুই বছর আগে সরকার তাদের একটি অংশকে ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তরের ব্যাপারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তি রয়েছে। সাগরের মাঝে বিচ্ছিন্ন ওই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে রোহিঙ্গারা কতটা নিরাপত্তা পাবে, তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ। এ প্রসঙ্গে ভাসান চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, গত ১৭৬ বছরের মধ্যে কোনো ঘূর্ণিঝড় এই দ্বীপের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেনি।

গত কয়েক দশকে মিয়ানমারে দমন-নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। শরণার্থীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও এখনও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের সূত্র দিয়ে ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ