জেলায় জেলায় ফণির প্রভাবে নিহত ১৪
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মে ২০১৯, ১১:৩৯ AM , আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ১২:০১ PM
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবেশ করেছে সুপার সাইক্লোন ‘ফণি’। এর আগেই সারাদেশে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি দেখা দেয়। ফণির প্রভাব ও আঘাতে গতকাল ও আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোলা: ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে শনিবার জেলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আঘাতে কয়েকটি চরে ঘর-বাড়ি ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে প্রায় ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।
নোয়াখালী: আজ শনিবার ভোর ৪টায় এক থেকে দেড় মিনিটের এ টর্নেডোতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রায় শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘরচাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০-৩৫ জন।
কিশোরগঞ্জ: ফণির প্রভাবে গতকাল শুক্রবার কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।
নেত্রকোনা: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল বারেক (৩৫)।
বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে কাঠের ঘর ভেঙে পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের বাঁধঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নুরজাহান (৬০) ও তার নাতি জাহিদুর (৯)। জাহিদুর বাঁধঘাট এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে।
বাগেরহাট: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হন। তিনি ওই গ্রামের মোজাহারের স্ত্রী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ বজ্রপাত হয়।
মাদারীপুর: ঘূর্ণিঝড় ফণিকে ঘিরে দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের সময় গতকাল বিকেলে এক যাত্রী নিহত ও ১০ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় আমির হামজা নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।