জুলাই ঘোষণাপত্রে খুশি বিএনপি, নাখোশ জামায়াত 

মির্জা ফখরুল ইসলাম  আলমগীর ও ডা. মোহাম্মদ তাহের
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ডা. মোহাম্মদ তাহের  © টিডিসি সম্পাদিত

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের পর দেশের প্রধান দুই বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়ায় দেখা দিয়েছে ভিন্ন সুর। ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার’ হিসেবে দেখছে বিএনপি। অন্যদিকে এতে হতাশা প্রকাশ করে জামায়াত জানিয়েছে—‘জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’

বুধবার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অঙ্গীকার পালনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে দূর করবে এবং গোটা জাতি মনে করে অতিদ্রুত নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সংকট দূর হবে। অতিদ্রুত রাষ্ট্র সংস্কারের কাজগুলো শেষ হবে।

নির্বাচনের ঘোষণায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের খুশি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনো তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আমরা আশা করব তারা একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ পরিষ্কার করবে।’ 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সংকটে নির্বাচনই একমাত্র পথ। আমরা মনে করি, গোটা জাতি মনে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংকট কাটিয়ে দেশ গণতন্ত্রে উত্তরণ করবে।’ বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে বলেও এ সময় জানান তিনি।

এদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ তাহের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হোক। কারণ, মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে এতদিন অপেক্ষা করছিল, তা জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে পূরণ হয়নি। এতে করে দেশের জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যেও নতুন করে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তাই ঐক্যমত্য কমিশনের মাধ্যমে আগামীর জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কেমন হবে, তা এখনও অস্পষ্ট।

এর আগে, এক প্রতিক্রিয়ায় ডা. মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা এই ঘোষণাপত্রে হতাশ, এই জাতি হতাশ। কারণ ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেওয়া দরকার ছিল। ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তাবায়ন করবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই। ডা. তাহের বলেন, আন্দোলনে শহিদ পরিবার কিংবা পঙ্গু যারা আছে তাদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই ঘোষণাপত্রে। যারা শহিদ হয়েছে বা আহত হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কথা ছিল, তাদের ভাতা দেয়ার কথা ছিল। এসব কোনো বিষয়েই ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। এসব কারণে আমরা হতাশ। 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!