মৃত স্বামীর ঋণের মামলায় স্ত্রী কারাগারে, আসামি ৩ শিশু সন্তানও
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৪ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ AM

এতিম তিন শিশুই পিতার ঋণের দায়ে মামলার আসামি! ৪ বছরের শিশু নাঈমা, সাড়ে ৫ বছরের আহমুদুল্লাহ আর ১০ বছরে পা রেখেছে আইরিন। ওদের মা থেকেও যেন নেই। মৃত স্বামীর খেলাপী ঋণের মামলায় দুমাস ধরে জেলে। দুই বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর মায়ের আশ্রয়ে লালিত পালিত হলেও মা জেলে যাবার পর থেকে অবুঝ শিশু জান্নাতুল নাঈমা আর আহমাদুল্লাহর একমাত্র ভরসা দশ বছর বয়সী বড়বোন আইরিন। নানার আশ্রয়ে ছোট ভাইবোনের বাবা-মার দায়িত্ব পালন করছে আইরিন।
শিশুদের নানী বলেন, দুইমাস হলো আমাদের মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তিন শিশুকে আমরা পালছি। বুড়ো মানুষ আমরা, আয়-রোজগার নেই কীভাবে এই বাচ্চাদের দেখাশোনা করবো?
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরে অবস্থিত আইরিন পোল্ট্রি মুররি হাউজের স্বত্বাধিকারী মৃত আমিন শেখ ও পপি খাতুন দম্পতির নাবালক তিন শিশু। বাবা আমিন শেখের ঋণের দায়ে ৩টি শিশু একটি বেসরকারি ব্যাংকের দায়ের করা অর্থ ঋণের মামলার আসামি। বাবা মারা গেছেন আরও দুই বছর আগে।
আর এ মামলায় তাদের মা পপি খাতুন দুইমাস যাবত জেলহাজতে থাকায় শিশুদের জীবন এখন বিষাদে ভরা আর যন্ত্রণায় কাতর। বৃদ্ধ দিনমজুর নানা সিরাজ শেখ এতিম এই শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতিকারের আশায়। তবে সমাধানের পথ এখনও পাননি তারা।
১০ বছরের শিশু আইরিন বলে, ভাইবোন দুটো ঘুমের ঘরেও পুলিশ-পুলিশ বলে কান্না করে। আমার আব্বার লোন মাফ করে আমার মারে ছাড়িয়ে এনে দেন।
শিশুদের মামলার আসামি করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও সাপ্তাহিক চন্দনার সম্পাদক কাজী হাসান ফিরোজ। তিনি বলেন, আমিন শেখের ঋণের মামলায় তার স্ত্রী কারাগারে। তিন শিশু সন্তানও মামলার আসামি। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘণ। আমরা আশা করছি, আদালত এবিষয়ে সুবিবেচনা করবেন।