সাংবাদিক চাকরিচ্যুতির ঘটনায় সরকার নয় সিটি গ্রুপই দায়ী: প্রেস সচিব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ PM
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির ৫ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এই নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনায় অনেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে দোষারোপ করছেন। এবার সে প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সময় টিভির সাংবাদিক বরখাস্তের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, এর জন্য একমাত্র সিটি গ্রুপই দায়ী।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রেস সচিব তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিবের ভাষ্য, 'বারবার আমরা বলেছি, আমরা কোনো সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করি না। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা কোনো সাংবাদিককে নিয়োগ বা বরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন বা কোনো সংবাদ প্রকাশ বা বন্ধ করতে চাপ দিয়েছেন, আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এর আগেও 'আমাদের সময় পত্রিকা' এবং 'বৈশাখী টিভির ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নিয়েছি।'
শফিকুল আলম বলেন, 'আমাদের সরকার ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তার মানে এই নয় যে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশ মেনে চলি। যদি আমরা তা করতাম, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সময় টিভিতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে হতো না। তারা আমাদের কাছে তাদের দাবি জানাত এবং আমরা তা সিটি গ্রুপকে কার্যকর করতে বলতাম।
তিনি আরও বলেন, 'সময় টিভি সাংবাদিকদের বরখাস্ত করার পরিবর্তে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে পারত যে, তারা শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে কোনো সাংবাদিককে বরখাস্ত করবে না। কিন্তু তারা সেই পথে না গিয়ে সাংবাদিকদের বরখাস্ত করে নিজেদের ভুক্তভোগী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।'
সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতের ঘটনায় সিটি গ্রুপের ভূমিকা উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রেস সচিব বলেন, 'যারা এ ঘটনায় সরকারের দিকে আঙুল তুলছেন তাদের উচিত প্রথমে সিটি গ্রুপের সমালোচনা করা। সাংবাদিক চাকরিচ্যুতির ঘটনায় প্রথম ও প্রধান দায়ভার সংবাদমাধ্যমটিরই। দুঃখের বিষয় হলো শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে সময় টিভি যে ধরনের অপসাংবাদিকতা করেছে আমরা তার খুব কমই সমালোচনা করতে শুনেছি। বরং তারা হাসিনার সময়ে যা ঘটেছে তার সঙ্গে এখনকার ঘটনার মিথ্যা তুলনা দিচ্ছে।'