আ.লীগ দেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল: জামায়াত আমির
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ AM , আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ AM
আওয়ামী লীগ কার্যত এ দেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজারে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যত এ দেশকে ভারতের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিল। আমরা এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান চারটি ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করি। হিংসা-বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই দৃষ্টান্ত পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আমরা শিখেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু হিসেবে এ দেশের মানুষকে আখ্যায়িত করেছে।
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জাতিকে মুখোমুখি করে রাখা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, একদল স্বাধীনতার পক্ষে আর একদল স্বাধীনতার বিপক্ষে। পক্ষের স্লোগান দিয়ে যে দলটি মানুষকে শোষণ করেছিল, তারা কার্যত অন্য দেশের কাছে দেশ ইজারা দিয়ে রেখেছে।
জামায়াত আমির বলেন, এই দেশে মুসলমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এই চারটি ধর্মের মানুষের পাশাপাশি অন্য জাতের মানুষ পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। হিংসা-বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের পূর্বপুরুষরা রেখে গেছেন। কিন্তু ওই দলটি মুক্তিযুদ্ধের নামে পক্ষে-বিপক্ষে নয়, বরং শুধু ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু আখ্যায়িত করে ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে চার বছরের বেশি টিকতে পারেনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১৯৭২ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘু বলে মায়া কান্না করে তাদের জায়গাজমি দখল করে অন্যায়ভাবে তারাই তাদের সম্পদের ওপর হাত দিয়েছে, তাদের ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে। অথচ তারা মায়া কান্না করে আর দোষটা চাপায় এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষ, বিশেষ করে যারা নিষ্ঠাবান মুসলমান তাদের ওপর।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘এ দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী। আগেই সেনাবাহিনীর ক্ষতিসাধন করেছে। জামায়াতকে তছনছ করে দিতে পারলে তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। তারা জমিদার হয়ে পড়বে আর দেশের মানুষকে তারা ভাড়াটিয়া বানাবে। এভাবেই ষড়যন্ত্র করেছিল তারা। কিন্তু মালিক বাড়ি ছেড়ে পালায় না। ভাড়া দিতে না পেরে ভাড়াটিয়া পালায়। এখন কে পালিয়েছে, ভাড়াটিয়ারা পালিয়ে গেছে।’
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমান বেলাল, এ টি এম আযম খান, এনামুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।