১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কাদের মোল্লার স্মরণে শাহবাগে দোয়া মাহফিল
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ PM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ PM
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল করেছেন শাহবাগ প্রতিরোধ আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের প্লাটফর্ম ‘মেঘনা-৫’। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
কাতারের হামাদ বিন খলিফা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী এবং মেঘনা-৫ এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইশরাকের সভাপতিত্বে মিলাদ মাহফিল শুরু হয়। এসময় মোহাম্মদ ইশরাক বলেন, ট্রাইবুনাল যে ভুয়া ছিল এটা স্পষ্ট। এ ট্রাইবুনাল শুধু কাদের মোল্লা-নিজামীদের জুলুম করেনি। হিন্দু স্বাক্ষীদেরও জুলুম করেছে। সেইফ হোমে নিয়ে দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে। এ ট্রাইবুনালের আইনটাই এতটা ভুয়া যে চব্বিশের গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য আইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক ব্যক্তি নয়। যিনি কসাই কাদের ছিলেন তিনি তৎকালীন সময়ে মিরপুরেই মারা যান আর কাদের মোল্লা কখনো মিরপুর এলাকায়ই যাননি। আমরা এ বিচারিক হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন। তিনি বলেন, আধিপত্যবাদীরা তাদের রাজত্ব মজবুত করার জন্য বিচারিক হত্যাকাণ্ড করেছে আবদুল কাদের মোল্লাকে। তিনি ছিলেন এ ফ্যাসিবাদী আমলের প্রথম শহীদ। আমরা কখনো এই হিন্দুত্ববাদী, আধিপত্যবাদী বিচারকে মেনে নেবো না।
নাজীব মোমেন আরও বলেন, এ ট্রাইবুনালের সাথে জড়িত বিচারপতি এবং সাক্ষীদের বিচার প্রত্যাশা করেছেন। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আমির আজিজের সাব ইয়াদ রাখ্যা যায়েগা কবিতা আবৃত্তি এবং মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয় এই আয়োজন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুল কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে শাহবাগে ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ এর আন্দোলন শুরু হয়।