শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে পেশাজীবী পরিষদের শ্রদ্ধা

ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ
ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ  © সংগৃহীত

শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ সময় শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে থাকা সমাধিতে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ,  ডা. আবদুস  সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

এ সময় অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও স্বৈরাচারী এরশাদের একই নীতির লোক ছিলেন। উভয়ই রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ বীরের জাতি। তারা জীবন দিয়ে এদেশ ও দেশের গণতন্ত্রকে বার বার রক্ষা করেছে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা হত্যা, গুম-নির্যাতনমুক্ত একটা মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে ভয়ভীতি থাকবে না। থাকবে সমতা ভিত্তিক ন্যায়বিচার। গড়ে উঠবে ‘মানবিক বাংলাদেশ’। যা বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে পরিস্ফূট হয়েছে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্টকে চাই।ফ্যাসিবাদী রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করতে হবে। সব গুম ও খুনের বিচার করতে হবে।  এমন একটি দেশ গড়তে হবে যেখানে ভয়ভীতি থাকবে না। সবার ভয়েস শোনা হবে। ছেলে-মেয়েদের দেশ ত্যাগের তাড়না থাকবে না। থাকবে না কোন গর্বের দেশ হবে।’

আরও পড়ুন: হাসিনার পলায়নের দৃশ্য মনে করুন—যাদের উদ্দেশ্যে বললেন উপদেষ্টা ফারুকী

যাদের হাতে এখনও রক্ত লেগে আছে তাদের বিচার আগে হতে হবে-উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, শিশু ও গণহত্যাকারীদের  দেশে আনতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।

১৯৯০ সালের এই দিনে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল মুহূর্তে আন্দোলনের সংগঠক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। মিলনের আত্মদানের মধ্য দিয়ে সেদিনের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর শহিদ ডা. মিলন দিবস পালন করা হচ্ছে। 


সর্বশেষ সংবাদ