উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বলল হেফাজতে ইসলাম

মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো
মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো   © সংগৃহীত

চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার (১১ নভেম্বর) দলটির ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকার মুজিববাদকে পুঁজি করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই জালেম শাসকগোষ্ঠীর পতন নিশ্চিত হয়। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীসহ একাধিক উপদেষ্টা সেই পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর। বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা উপায়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন এবং সমর্থন জুগিয়েছেন। 

‘এ ছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ সাবেক তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফারুকী। তিনি গণঅভ্যুত্থানের পর সেই শাসনের প্রতীক সংস্কারের পক্ষে আওয়াজ তুলে এক প্রকার ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন। যা দেশবাসীর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিন জুলাই বিপ্লবে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় এ দেশের ছাত্র জনতাসহ আলেম ওলামারা সম্মিলিতভাবে বসিয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুঃখের বিষয়, হলো এই সরকারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার এখনো হয়নি। এর বদলে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে, এ দেশের আপামর তৌহিদী জনতা আপনাদেরও ক্ষমা করবে না।

‘দেশে কি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের অভাব পরেছে? ফারুকীর মতো একজন নাট্যকারকে কোন যুক্তিতে উপদেষ্টায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা দেশবাসী জানতে চায়? এমন প্রশ্ন করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, শাহবাগীদের অনুসারী, সমকামিতার পৃষ্ঠপোষক, ফ্যাসিস্টের দোসর কাউকে আমরা উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চাই না। শহীদ ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কখনোই তা মেনে নেওয়া হবে না।'

প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। চলমান নানা ইস্যু নিয়ে নিয়মিত নিজের মতামত ও পরামর্শ দিয়েছেন এই নির্মাতা।


সর্বশেষ সংবাদ