‘আমি আগেই বলেছিলাম তাকে রাষ্ট্রপতি বানানো ঠিক হবে না’

জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ  © সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রধান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। ৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টা ১০ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে সরকার গঠনের পর তাকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সাত মাসের মধ্যেই তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। বিএনপির সংসদ সদস্যরাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কী ঘটেছিল সে সময়?

২০০২ সালের ২০ জুন। সেদিন খবরের কাগজ দেখে পাঠকদের অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। আচমকা আসা ওই খবরটির জন্য অনেকেই হয়তো একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না।

বিভিন্ন খবরের কাগজে বড় বড় হরফে, কোথাও লাল কালি দিয়ে শিরোনাম হয়েছে যে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ওপর আস্থা নেই খোদ তার দল বিএনপির সংসদ সদস্যদের।

ঘটনা শুধু তা-ই নয়, বিএনপির সংসদীয় দলের যে বৈঠক আগের দিন থেকে শুরু হয়েছিল, সেই বৈঠকে অনেক সংসদ সদস্য দাবি তোলেন যে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী পদত্যাগ করুন। অন্যথায় তাকে ইমপিচ করার হুমকি দেন তারা।

তখনকার খবরের কাগজ সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন স্থানীয় সরকার উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সভায় এ সংক্রান্ত আলোচনার সূত্রপাত করেন। ওই সভায় বিএনপির ১৫ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দিলেও সবাই একই সুরে কথা বলেছেন।

আলোচনার সময় রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ আনা হয়, সেগুলোর একটি হচ্ছে, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার মুন্সিগঞ্জ সফরের সময় তাকে স্বাগত জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করেন রাষ্ট্রপতির ছেলে মাহী বি. চৌধুরী, যিনি সেখানকার একটি আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়, সংসদীয় দলের সভায় বিএনপির একজন সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের পুত্র বিরোধীদলীয় নেত্রীর জন্য তোরণ নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু আমরা যদি এ ধরনের তোরণ নির্মাণ শুরু করি, তাহলে কেমন হবে?’

সংবাদমাধ্যমে ওই সভার খবর প্রকাশের পরপরই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।

এর পরদিন বিএনপির সংসদীয় দলের সভা শেষে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে সর্বসম্মতিক্রমে আহবান জানানো হয়। সেদিন তৎকালীন চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছিলো, ‘১৯ ও ২০ জুন দলের সভায় বিস্তারিত আলোচনার পরে এই মর্মে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে বিএনপি সংসদীয় দল মাননীয় প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ওপর আস্থা হারিয়েছে বিধায় তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

২১ জুন সবগুলো খবরের কাগজে প্রধান শিরোনাম হয় যে রাষ্ট্রপতি আজ পদত্যাগ করবেন।

এর আগের দিন সংসদীয় দলের সভা চলার সময় রাষ্ট্রপতির ছেলে এবং সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী বৈঠক থেকে বেরিয়ে টেলিফোনে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সভার মনোভাব সম্পর্কে জানিয়ে পদত্যাগের পরামর্শ দেন।

একটি দৈনিকে মাহী বি. চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, ‘আব্বা, তোমার পক্ষে কথা বলার কেউ নেই, তোমার পদত্যাগ করাই ভালো।’

একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘রাষ্ট্রপতি দলের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা ক্ষমাহীন ব্যাপার। ভুলেরও একটা মাত্রা আছে। তিনি সে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন।’

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ওপর বিএনপির ক্ষোভের নেপথ্যে
মাত্র সাত মাস সাত দিনের মাথায় রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে কেন বিদায় নিতে হয়েছিল, তার নানা কারণ উল্লেখ করে তখন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।

যেসব কারণের কথা ওই সব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে:

* জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন না করা।

* রাষ্ট্রপতির বাণীতে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ না করা।

* বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুন্সিগঞ্জে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলে এবং সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরীর তোরণ নির্মাণ।

* রাষ্ট্রপতির বিভিন্ন বক্তব্যে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' ব্যবহার না করা, কারণ 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' বিষয়টি বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ধারণ করে।

* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমদকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করা। অধ্যাপক আফতাব আহমদের নাম প্রধানমন্ত্রীর দফতর অনুমোদন করেছিল। রাষ্ট্রপতি সেই ফাইলে স্বাক্ষর না করায় পরে আফতাব আহমদকে বাদ দিয়ে অধ্যাপক জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগমকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

* রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন 'বাংলাদেশ টেলিভিশনে' রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বেশি সময় পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন বিএনপির কিছু নেতা। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির কভারেজ কমিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিটিভিকে বলা হয়েছিল, এমন খবর সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে।

* তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য এক মাস আমেরিকায় অবস্থান করে দেশে ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি কোনো খোঁজখবর নেননি।

* দলের মনোনীত হয়ে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মি. চৌধুরীর নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া।

* রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা ব্যয় বাড়ানো।

* সেনাবাহিনীসহ কয়েকটি বিষয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন রাষ্ট্রপতি।

* রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের বাইরে অধিক সংখ্যক জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া।

* বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে সরকারের একটি মহল থেকে আপত্তি এলে তা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তোলে।

২০০৬ সালে বিবিসি বাংলাকে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে আবেদন জানালো আমি যেন চ্যান্সেলর হিসেবে সেখানে ডিগ্রিগুলো দিতে যাই। আমি সেগুলো করেছি কিছুদিন পর, একজন মন্ত্রী আমার কাছে এলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বললেন যে আমি যেন এত বেশি এক্সপোজড না হই অর্থাৎ এ ধরনের অনুষ্ঠান যেন আমি না করি।’

বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য
তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এবং বিএনপির সিনিয়র নেতা সাইফুর রহমান মন্তব্য করে বলেন, ‘স্রষ্টার সাথে সৃষ্টি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। কিন্তু তিনি (বদরুদ্দোজা চৌধুরী) জিয়াউর রহমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ মন্তব্য করেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যেতে হবে, নইলে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিএনপির নেতা আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম তাকে প্রেসিডেন্ট বানানো ঠিক হবে না। আমার কথা ফলেছে।’

এ ছাড়া বিএনপি নেতা ও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদাও রাষ্ট্রপতির সমালোচনায় সরব ছিলেন।

পদত্যাগের পর বদরুদ্দোজা চৌধুরী কী বলেছিলেন
বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেবার পর বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করেন যে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল, সেগুলো সম্পর্কে কেউ কোনো ব্যাখ্যা নেয়নি।

বি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজন সিনিয়র মন্ত্রীকে তো পাঠানো যেত আসল ঘটনা জানার জন্য। আমি নিজেও দুবার প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেছিলাম। কিন্তু কোনো কথা হয়নি।’

বিএনপির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে বদরুদ্দোজা চৌধুরী উল্লেখ করে বলেন, যদি তিনি পদত্যাগ না করতেন, তাহলে তাকে সংসদে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা যেত না। তিনি বলেন যে তিনি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলেন।

২০০৬ সালে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম কথা আমি দলের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করি নাই, আর দ্বিতীয়ত, আমি তো দলে ছিলামই না! আমি তো নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করে এসেছি, সুতরাং আমি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেভাবে কাজ করা উচিত ছিল সেভাবেই কাজ করেছি।’

পদত্যাগের পর বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে যে কথা বলেন, সেখানে তিনি নানা বিষয় তুলে ধরেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ না করা প্রসঙ্গে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘মরহুম জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকা সম্পর্কে আমি আমার বাণীতে বলেছিলাম। আমি তার ঐতিহাসিক ভূমিকা সম্পর্কে বলেছি। এ ঐতিহাসিক ভূমিকা বলার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় আছে। একটি ঘোষক এবং অপরটি যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে যুদ্ধ করা। আমি বরং অনেক বিস্তারিত বলেছি। আর এক কথা বারবার বলতে হবে কেন?’

বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি করতে চাননি খালেদা জিয়া
২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপতি পদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বেছে নিয়েছিল।

বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পরও মেয়াদ শেষে সাহাবউদ্দিন আহমেদকে আরও ছয় মাস রাষ্ট্রপতি রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। কিন্তু তিনি ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিনি এতে মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী অনেকটা প্রকাশ্যে রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং আরও কিছু সিনিয়র নেতা রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তার বিষয়ে অনাগ্রহী ছিলেন বলে জানা যায়।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুতসই কোনো প্রার্থী না পাওয়ায় অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বেছে নিতে বাধ্য হন খালেদা জিয়া, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অধ্যাপক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন কোনো কোনো বিএনপি নেতা।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিদায়ের পর খালেদা জিয়ার বক্তব্যে তার সম্পর্কে সমালোচনা ও ক্ষোভের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

২০০২ সালের ২৯ জুন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যে যত বড়ই হোক না কেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের শিকড় কেটে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ