আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ

আসিফ মাহমুদ
আসিফ মাহমুদ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারি হিসেবে আহত বিশ হাজারেরও বেশি। শহীদের সংখ্যা ৭শ আটজন। এদের মধ্যে অনেকেরই যেমন চিকিৎসা দরকার, তেমনি দরকার অর্থসহায়তা। কিন্তু সেই অর্থসহায়তা কিংবা আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা এখনও ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ফলে সরকারের দায়ভার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

যদিও সরকার ইতোমধ্যেই একটা ফাউন্ডেশন গঠন করে ১শ কোটি টাকা বরাদ্দও দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সেভাবে দৃশ্যমান নয়। কীভাবে পর্যাপ্ত তহবিল তৈরি হবে এবং সহায়তা কার্যক্রম চলবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিষয়গুলো নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘স্বল্প পরিসরে হলেও ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ফাউন্ডেশন থেকে সরকার প্রাথমিক অনুদানটা দিয়েছে। এখন আমরা আহ্বান করেছি, দেশি-বিদেশি যারা যারা আছেন তাদের অনুদান দিতে। প্রাথমিকভাবে আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শহীদ পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা, আহতদের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেয়া হবে। 

এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সিএমএইচ এ যারা চিকিৎসাধীন আছে, তাদের এক লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। সারাদেশে আমরা তালিকা করছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সবাইকে টাকা পাঠানো হবে। আমরা সেসব তথ্য সংগ্রহ করছি।’

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে আহত-নিহতদের তালিকা প্রণয়নের কাজও শুরু হয়। একদিকে এই তালিকা এখনও শেষ হয়নি, অন্যদিকে তালিকার অপেক্ষায় সহায়তা কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে শুরু করা যায়নি। কিন্তু তালিকা তৈরিতে বিলম্ব কেন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক প্রশ্নের সমাধানে আমরা আসতে পারিনি। যেমন শহীদদের পরিবারকে মাসিক একটা এলাউন্স কীভাবে দেয়া যায়, শহীদ পরিবার থেকে একজনের কর্মসংস্থান কীভাবে করা যায় ইত্যাদি। সেটার জন্য তালিকা আগে তৈরি করতে হবে। এটা একটা বৃহৎ কর্মযজ্ঞ। এর জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। যে কোনও কারণে হোক, উনারাও আমাদের কাছে পৌঁছতে পারেননি, আমরাও উনাদের কাছে পৌঁছাতে পারিনি।’

শহীদ পরিবারকে সহায়তার বিষয়ে দৃঢ়তা প্রকাশ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে, আজকে থেকে পাঁচ/ছয় মাস পরে এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না যে শহীদ পরিবারকে কীভাবে দেখা হবে। আহতদের কীভাবে লং টার্ম ট্রিটমেন্ট হবে। এসব নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ