শ্যামল দত্ত-প্রভাষ আমিনসহ ৫১ সাংবাদিকের বহিষ্কার দাবি বৈষম্যবিরোধীদের

শ্যামল দত্ত-প্রভাষ আমিনসহ ৫১ সাংবাদিকের বহিষ্কার দাবি ছাত্রদের
শ্যামল দত্ত-প্রভাষ আমিনসহ ৫১ সাংবাদিকের বহিষ্কার দাবি ছাত্রদের  © টিডিসি ফটো

সাংবাদিকতার আড়ালে জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫১জন সাংবাদিককে কর্মস্থল থেকে বহিষ্কার এবং সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনকারীরা। শনিবার (১০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসউদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়—প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রেসক্লাবই বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন (যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু দালালই নয় পার্লামেন্ট মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল।

আরও পড়ুন: যেভাবে ভারতে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা

‘‘ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু (ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার করেছে), মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হাসান চৌধুরী, ফারজানা রুপা, আরিফ জেপ্তিক, অশোক চৌধুরী, শাহজান সরদার, সুভাষ সিংহ রায়, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম (ডিবিসি), প্রণব সাহা (ডিবিসি), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম (ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা), সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ,ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি), শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মামুন আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই), শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাশ ( সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), ফরাজী আজমল (ইত্তেফাক), আনিসুর রহমান (বিএসএস), স্বপন বসু (বিএসএস), হাসান জাবেদ (এনটিভি), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিম (৭১ টিভি) এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাঈমুল ইসলাম খান। আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকাণ্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী।’’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব জাতীয় দুশমনরা প্রেস ক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ