মানিকগঞ্জে সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৬ PM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০১:৫৫ PM
রবিবার মানিকগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত জেলা আওয়ামী লীগের নেতা তায়েবুর রহমান ওরফে টিপু মারা গেছেন। পরে রাতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম হোসেন খান তায়েবুরের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তায়েবুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের চাচা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ১০টার দিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মানরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও জনতার সঙ্গে যোগ দেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক বক্সসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করেন। এরপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে আন্দোলনকারী বেশ কয়েকজন আহত হন।
এরপর আন্দোলনকারীরা কিছুটা পিছু হটেন। এর কিছুক্ষণ পর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। পরে আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া করেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতা তায়েবুর রহমানের মাথায় আঘাত লাগে। বিক্ষোভকারীরা জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম হোসেন খান বলেন, গুরুতর আহত তায়েবুর রহমানকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।