সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার শঙ্কা

সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার শঙ্কা
সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার শঙ্কা  © সংগৃহীত

আগামী ৫ দিন সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও সংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। যার ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা ও সারিগোয়াইন নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বন্যার মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এই সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, সারা দেশে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও পূর্বাভাস অনুযায়ী, অতিভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন: আজ ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস

এর আগে টানা ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের ফলে সিলেটের সমতল আর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বন্যায় তলিয়ে যায়। উজানের পানির কারণে দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাব। বন্ধ করে দেয়া হয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো। গত ১৬ জুন থেকে সৃষ্ট বন্যায় বিপাকে পড়েছিল সুনামগঞ্জের মানুষ। বন্যার পানি এখন কমে গেলেও নতুন করে আবারও বন্যার পূর্বাভাসে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ