তাকবিরে তাশরিক কখন পড়বেন?

তাকবিরে তাশরিক
তাকবিরে তাশরিক  © সম্পাদিত

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর নামাজের পর থেকে নিয়ে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত সময়কে তাশরিকের দিন বলে। এ সময়ের মধ্যে মোট ২৩ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর কোন কথা বা সুন্নত নামাজ না পড়ে জামাতে নামাজ পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর একবার করে তাকবিরে তাশরিকপড়া ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক-

الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد الله أكبر

(আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদু)
  
১. প্রত্যেক মুসল্লির জন্য জিলহজের ৯ তারিখের ফজর হতে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজ আদায় করে সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। (রোববার (১৬ জুন) থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আসর পর্যন্ত)

২. নারীরা এই তাকবিরে তাশরিকটি নিচু স্বরে আদায় করবেন। উচ্চস্বরে নয়।

৩. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদিরা ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা তাকবির বলবেন।

৪. প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালামের পর পরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থী কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।

আরও পড়ুন: আরাফার দিনের বিশেষ ৩টি আমল 

৫. কোনো সময় সবাই বা কেউ কেউ তাকবির বলতে ভুলে গিয়ে মসজিদ থেকে বের না হয়ে গেলে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গুনাহগার হবে।

৬. আইয়ামে তাশরিকের কোনো নামাজ কাযা হয়ে গেলে ওই দিনগুলোর মধ্যে তার কাজা আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাজা পরবর্তী অন্য সময় আদায় করলে বা আইয়ামে তাশরীকের আগের কাজা নামায ওই দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়।

৭. কোনো ব্যক্তি নামাজে মাসবুক হলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ