লোডশেডিং দেখতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে এলাকায় আমন্ত্রণ

  © সংগৃহীত

লোডশেডিংয়ের চিত্র দেখাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে নিজ নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও তাড়াইলে নিয়ে যেতে চান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তার এলাকা লোডশেডিংয়ের চিত্র তুলে ধরে প্রশ্ন রাখেন, ‘বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’ রোববার বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু শুরু হয়।  মাগরিবের বিরতির পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে গ্রামে লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। 

তিনি বলেন, “দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এখন দুটো সমস্যায় মানুষ আক্রান্ত। একটি হল বিদ্যুৎ। এখন গ্রামগঞ্জে লোডশেডিং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা।”

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ-তাড়াইলে ২৪ ঘণ্টায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে। তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?”

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চুন্নু বলেন, “গ্রামে লোডশেডিং হয় না চ্যালেঞ্জ করবেন কেন? আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, একটা দিন থাকার জন্য, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।''

অন্য সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির নেতা বলেন, “কী যে অসহনীয় অবস্থা দেশের, ঢাকায় থেকে আপনারা বুঝবেন না। সরকারি দলের যে সমস্ত এমপিরা গ্রামগঞ্জে আছেন তারা হয়ত এখন বলতে পারছেন না।”

সক্ষমতা সত্ত্বেও ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪১ শতাংশ বসে আছে জানিয়ে চুন্নু বলেন, “২০২২-২৩ অর্থবছরে বসে থাকার জন্য ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।”

বিদ্যুতের দায়মুক্তি আইনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “'এ চুক্তি দয়া করে প্রত্যাহার করেন। উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি, তা জনগণের স্বার্থে বাতিল করেন।

“ওই সমস্ত কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল দেবেন, বসিয়ে বসিয়ে ২৬ হাজার টাকা বিল দেবেন, তাহলে লোডশেডিং থাকবে।” 

বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে, ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ।


সর্বশেষ সংবাদ