সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন, ৩ জন খালাস

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন  © সংগৃহীত

পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ৩৫ বছর আগে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে।

মামলায় অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী  (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মন্টু মন্ডলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

রায় ঘোষণার সময় সব আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। তবে ওই দিন রায় পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১৩ মার্চ ধার্য করেন আদালত।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলাটি ২৫ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে গড়ে একজন করে আসামি গ্রেপ্তার করেন। 

১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টু নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরপর মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালে মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


সর্বশেষ সংবাদ