অরিত্রীর আত্মহত্যার মামলায় ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রায় আজ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ  © সংগৃহীত

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে আজ রোববার রায় ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (৩ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত ২১ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ধার্য করেন। তবে ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় দুই দফায় পিছিয়ে ৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন শিক্ষক। এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে যেতে বলা হয়। ‍এরই প্রেক্ষিতে তার বাবা-মা স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

আরও পড়ুন: পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ভিকারুননিসায় আজ হচ্ছে না ক্লাস-পরীক্ষা

অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন। 

ঘটনার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয় চার্জশিটে।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। দুই আসামির বিরুদ্ধে যে ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে, ওই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ