অধ্যক্ষের ভুলে দাখিল পরীক্ষা দেওয়া হলো না তিন ছাত্রীর
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫ PM , আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪২ PM
ভোলার লালমোহনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ভুলের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাদের।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে সোনিয়া নামের এক শিক্ষার্থী জানান, শুধু সোনিয়া নামের সাথে মিল রয়েছে কিন্তু আমার পিতা মাতা এমনকি ছবির সাথে তার মিল না থাকায় তারা পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যান। সোনিয়ার পিতার নাম আবু তাহের মাতার নাম নুরজাহান, কিন্তু তার হাতে যে প্রবেশপত্রে রয়েছে, তাতে বাবার নাম দেখানো হয়েছে নাজিমুদ্দিন মাতার নাম শাহনাজ বেগম যা সম্পূর্ণ ভুল। শুধু সোনিয়া নয় এভাবে ভূলে রয়েছে আরো দুই শিক্ষার্থীর, যেখানে তাদের ছবি, নাম, এমনকি পিতা মাতার নামের সাথে কোন মিল নেই।
সোনিয়ার মা শাহনাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন করিমগঞ্জ সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিনের দুর্নীতির কারণেই আজকে তাদের মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না, তাদের যদি ভুল হতো তাহলে তাদেরকে কেন আগে জানানো হয়নি, নিয়মিত শিক্ষার্থী হয়েও কেন আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবো না। এটা সম্পূর্ণ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষর দুর্নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে যদি বলে হতো তাহলে একটা দুইটা ভুল হত সব বিষয়ে ভুল হতো না, আমার মনে হয় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সাটিফিকেট দেওয়া জন্য তিনি এ কাজ করেছে।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায় এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, কেন্দ্রের ভিতরে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে শুনেছি বাহিরে এমন ঘটনার কানাঘুষা চলছে। লালমোহন উপজেলা একাডিমিক সুপারভাইজার মদন মহন বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক ঘটনা, তাদের নামের সাথে কাগজপত্র মিল না থাকে তাদেরকে আমরা পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিয়েছি। তবে বোর্ড থেকে কাগজপত্র ঠিক করে আসলে, তারা আগামীতে পরীক্ষা দিতে পারবে।