দেশে অবিবাহিত পুরুষ বেশি সিলেটে, কম রাজশাহীতে

দেশে অবিবাহিত পুরুষ বেশি সিলেটে, কম রাজশাহীতে
দেশে অবিবাহিত পুরুষ বেশি সিলেটে, কম রাজশাহীতে  © সংগৃহীত

আমাদের দেশের আইনানুযায়ী বিয়ের বয়স মেয়ে ১৮, ছেলে ২১ বছর। তবে এবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে সবচেয়ে অবিবাহিত পুরুষের হার বেশি সিলেটে। এ বিভাগের ৫৭.৪২ শতাংশ পুরুষ অবিবাহিত। আর পুরুষদের মধ্যে অবিবাহিত থাকার অনুপাত সবচেয়ে কম রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগের ৪৩.০১ শতাংশ পুরুষ অবিবাহিত।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্‌স ২০২২-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজশাহীর পর অবিবাহিত পুরুষের হার সবচেয়ে কম খুলনা ও রংপুরে। 

বিবিএসের জরিপে দেখা যায়, দেশের ৪৯.৯৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩.২৯ শতাংশ নারী বর্তমানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন। শহর ও গ্রামাঞ্চল নির্বিশেষে এ চিত্র প্রায় একইরকম। সামগ্রিকভাবে দেখা গেছে, কখনোই বিয়ে করেননি এমন পুরুষ জনসংখ্যার অনুপাত ৪৮.৪৯ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে তা ৩৬.৪২ শতাংশ।

সিলেট বিভাগের ছেলেদের বিয়ের গড় বয়স ২৭ বছর। আর মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ২১ বছর ৪ মাস। দেশের আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে বিয়ে হয় রাজশাহী বিভাগের মেয়েদের। এই বিভাগের মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন গড় বয়স ১৮ বছর ৬ মাস। 

এছাড়া সামগ্রিক নমুনা জনসংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে বিপত্নীক হয়েছেন ১.০৭ শতাংশ। তবে বিধবা নারীর অনুপাত অনেক বেশি। দেশে ৯.০৮ বিধবা নারীর উপস্থিতি মিলেছে জরিপে। 

বেশি বয়সে বিয়ে করেন সিলেটের ছেলে-মেয়েরা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় বেশি মাত্রায় তালাক বা বিচ্ছেদের ঝুঁকিতে রয়েছেন নারীরা। তালাক বা বিচ্ছেদের ঝুঁকিতে রয়েছেন বিবাহিত নারীদের ১.২০ শতাংশ। আর বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে এমন ঝুঁকির অনুপাত ০.৪৯ শতাংশ।

এদিকে, দেশে বিবাহিত মানুষের হার যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছেদসহ বিধবার সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের হার বেড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে পুরুষের তুলনায় নারীরা তালাক ও বিচ্ছেদের পথে বেশি এগিয়েছেন। 

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের নারীরা ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের পথে এগিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (এসভিআরএস) প্রতিবেদন ২০২২-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।


সর্বশেষ সংবাদ