স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ৫ জনের ১০ বছরের আটকাদেশ

১১ বছর আগে নাটোরের বড়াইগ্রামে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে পাঁচ যুবককে দশ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।

দণ্ডিতরা হলেন-বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের মাহাবুলের ছেলে মুসাব্বির রহমান ওরফে পল্লব (৩১), আলাউদ্দিনের ছেলে নুরসালন ওরফে শোভন (২৯), রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মিজাউলের ছেলে টুটুল (৩১), আব্দুর রহিমের ছেলে সাইদুর রহমান (৩০) ও ওই এলাকার ওম্বর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রকিব (৩০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে এলাকার ৫ যুবক নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রয়ারিু মধ্যরাতে ওই ছাত্রী বাড়িতে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে থাকাকালে কৌশলে এই ৫ যুবক দরজার ছিটকানি খুলে মুখে মাফলার বেঁধে তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে একে একে পাঁচজন ধর্ষণ করে।

পরে তার বাবা মেয়ের মুখে বিস্তারিত শুনে বড়াইগ্রাম থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ মে বড়াইগ্রাম থানার এসআই মো. নূর আলম পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

মামলার বাদী শাহজাহান সরদার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সময় বয়স কম থাকলেও বর্তমানে প্রত্যেক আসামির বয়স ৩০ বছরের বেশি। তাদের যে বিচার করা হয়েছে তাতে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আমিল করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, বয়সটা ঠিক থাকলে আসামিদের নিশ্চিত ফাঁসির আদেশ হত। মামলা চলার সময়ে আদালতে বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেখিয়ে তারা বয়স কমায়। এ কারণে মামলাটি শিশু আদালতে চলে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ