ভুয়া সনদে নিয়োগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়ায় অধ্যক্ষকে মামলা

অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী বিথীকা সরকার
অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী বিথীকা সরকার  © সংগৃহীত

জাল ও ভুয়া সনদ থেকে বাঁচতে এবং ভুয়া সনদে নিয়োগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়ায় অধ্যক্ষকে হয়রানিমূলক, ভিত্তিহীন এবং কলেজের সুনাম নষ্ট করতে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। এর আগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন এমপিও ভুক্তির একজন পদপ্রার্থী।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নাটোরের হাফরাস্তা এলাকায় একটি রেস্তোরায় মাধনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী বিথীকা সরকার। 

অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের স্ত্রী বিথীকা সরকার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,, গত ১৩ নভেম্বর ২০১১ সালে কলেজের পদে সরকার এমপিও ভুক্তির জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রভাষক মোজ্জাম্মেল হক তার কাগজপত্র পারিবারিক সমস্যার কথা বলে দাখিল করে না। পরবর্তীতে তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বর তার কাগজপত্র ও সনদ দাখিল করেন। কিন্তু তার সেই কাগজপত্র এবং নিবন্ধন সনদ এনটিআরসিএ জাল ও ভুয়া। পরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই কারণে প্রভাষক মোজ্জাম্মেল হক নিজেকে বাঁচানোর জন্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং কলেজের সুনাম নষ্টর করতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর নাটোর আমলি আদালতে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি মামলা দায়ের করেন প্রভাষক মোজ্জাম্মেল হক। পরে সোমবার রাতে অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিককে তার নিজ বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরের দিন বিকেলে অধ্যক্ষকে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলমের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


সর্বশেষ সংবাদ