দুই যুগেও এমপিওর মুখ দেখেনি বালালী বাঘমারা শাহজাহান কলেজ
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪১ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪১ PM
২৫ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি নেত্রকোনার মদনের বালালী বাঘমারা শাহজাহান কলেজ। এতো বছর পার হলেও এমপিওভুক্ত হয়নি কলেজটি।
১৯৯৮ সালে নেত্রেকোণা মদন উপজলোর তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা বাজারে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শিক্ষানূরাগী মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা লে.কর্ণেল শাহজাহান উদ্দিন ভূঁইয়া। দীর্ঘ সময়ে কলেজটি এমপিও না হওয়ায় বর্তমানে কলজের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ মানবতের জীবন যাপন করছেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে কলজেটি প্রতিষ্ঠা হলে ২০০০ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে কলেজটিতে একাদশ শ্রেণীতে ৮৫ জন, দ্বাদশ শ্রেণীতে ৩৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়া কলজে অধ্যক্ষসহ প্রভাষক ৯ জন ও কর্মচারী ৮ জন রয়েছেন।
২০২২ সালে এমপওিভুক্তির জন্য আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে শর্ত পূরণ না হওয়ায় প্রথম পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হয়নি।পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এমপিও নীতমিালা-২০২১ এর বিধি ২২ মোতাবেক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ও হাওর এলাকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে শর্ত শিথিল করে প্রতিষ্ঠানটিকে এমপওিভুক্ত করার জন্য আপিল আবদেনও করা হয়েছিল। সবশেষ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ আপিল আবদেনকৃত প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে বিধি-২২ এর আলোকে সকল শর্ত শিথিল করে এমপওিভুক্ত করা হলেও নেত্রকোনার এই কলেজটিকে এমপওিভুক্ত করা হয়নি। ফলে শিক্ষক ও কর্মচারীগণ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কোন ফান্ড না থাকায় এবং ব্যক্তিগত বা সরকারি-বেসরকারি কোন অনুদান না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক তেমন কোন সুবিধা পাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থে কলেজটি চালাতে হয়। অনগ্রসর এলাকা হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়াতে হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় পিছিয়ে থাকা হাওর এলাকার এই প্রতিষ্ঠিানটি এমপওিভুক্ত হওয়া প্রয়োজন এবং এতে বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে নারী শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
কলেজ অধ্যক্ষ মামুন সিরাজুল কাদের বলেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সকল র্শত পূরণ করেই আমরা এমপওির জন্য আবদন করছেলিাম কিন্তু পাইনি। এমপিও না পেয়ে আমরা শিক্ষক কর্মচারীরা খুবই কষ্টে আছি। পরিবার চালানোও খুবই কষ্ট হচ্ছে।অনেকে অবসর নিয়েছেন। আবার কেউ মৃত্যু বরণ করেছেন।
মদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল বারী বলেন, এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নের র্স্বাথে বালালী বাঘমারা শাহজাহান কলজ এমপওিভুক্ত হওয়া উচতি।
কলজেটির গভর্নিং বডির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এমপওিভুক্তির অভাবে কলজেটিকে রক্ষা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। কলেজের কোন ফান্ড না থাকায়, শিক্ষক কর্মচারীদেরকেও তেমন কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয় না। মাননীয় সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান শিক্ষার ব্যাপারে খুবই নিবেদিত। আমরা চাই উনি এই অবহেলিত প্রতিষ্ঠানটির প্রতি নজর দিলে দ্রুত এমপিও পাওয়া সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।