বিস্কুট দেওয়ায় প্রাথমিকে ভর্তি বেড়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  © ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করে আসছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার ১০৪ উপজেলার ৩০ লাখেরও বেশি শিশুকে পুষ্টিকর বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের বিস্কুট দেওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে ঝরে পড়ার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।’

গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) ইতালির রোমে জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফুড সিস্টেম সামিট’র উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফিডিং কর্মসূচির অভাবনীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে আরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচী চালু করার হবে। সরকার আগামী তিন বছরে ১৫০ উপজেলার ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ লাখেরও বেশি শিশুর মাঝে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। নতুন এ কর্মসূচিতে পুষ্টিকর বিস্কুটের পাশাপাশি মৌসুমি ফল, ডিম, দুধ দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

মন্ত্রী আরও জানান, উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আরও বিস্তৃত পরিসরে চালু করা সম্ভব হবে।

এদিকে, এ সামিটে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে’ যোগ দিয়েছে। ৮৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ কোয়ালিশনে যোগ দিলো। সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশ কোয়ালিশনের কমিটমেন্ট ডিক্লারেশনে সই করে।


সর্বশেষ সংবাদ