জিআই পণ্যের মর্যাদা পেল বগুড়ার দই

জিআই পণ্যের মর্যাদা পেল বগুড়ার দই
জিআই পণ্যের মর্যাদা পেল বগুড়ার দই  © সংগৃহীত

বগুড়ার বিখ্যাত সরার দই এবার পেল ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) ২৬ জুনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিন বগুড়ার দই ছাড়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়া অন্য পণ্যগুলো হলো শেরপুর জেলার তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম। এ নিয়ে দেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল।

দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি। এরপর একে একে স্বীকৃতি পায় ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলো বগুড়ার দইসহ চার পণ্য। এখন থেকে এসব পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ডিপিডিটিতে বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী আলাল। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়েছেন। কিন্তু এগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এখন জিআই পণ্যের মর্যাদা পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো। আশা করছি, ট্যারিফ লাইনেও বগুড়ার দইয়ের নাম শিগগিরই যুক্ত হবে।’

জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ৯৫টি পণ্যের তালিকা পাঠানো হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। জিআই পণ্য হিসেবে নির্বাচনে সেগুলো আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) সব শর্ত পূরণ করে কিনা, তা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এতদিনে মাত্র ১৫টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতি অর্জিত হলো। 

অথচ প্রতিবেশী ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন কন্ট্রোলার জেনারেল অব প্যাটেন্টস, ডিজাইনস অ্যান্ড ট্রেডমার্ক জানাচ্ছে, দেশটির জিআই স্বীকৃত পণ্য ৩৭০টির বেশি। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করায় ভারতের কাছে নকশিকাঁথার মতো পণ্যের অধিকার হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: ধানের শীষ দেশের মানুষের পেটের বিষ হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

ডিপিডিটি সূত্র জানায়, অন্তত ২৪টি পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম, কুষ্টিয়ার তিলেখাজা, কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, নোয়াখালীর মহিষের দুধের দই, লতিরাজ কচু, সোনালি মুরগি, সাবিত্রী রসকদম, চাচুরি বিলের কৈ মাছ, নাক ফজলি আম, সুন্দরবনের মধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, জামালপুরের নকশিকাঁথা, ফুটি কার্পাস তুলা প্রভৃতি।  

আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় ডিপিডিটি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence