ডব্লিউইএফর প্রতিবেদন

আগামী পাঁচ বছরে কমে যাবে ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি

আগামী পাঁচ বছরে কমে যাবে ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি
আগামী পাঁচ বছরে কমে যাবে ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি  © সংগৃহীত

ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বিশ্বজুড়ে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি কমবে। ফেসবুক, টুইটার, গুগলসহ বড় বড় টেক কোম্পানিগুলো শুরু করেছে ছাঁটাই প্রক্রিয়া। এর মাঝেই আরও দুঃসংবাদ দিল ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। খবর সিএনএন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) ডব্লিউইএফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এর কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনটি ৮০০’র বেশি কোম্পানির অংশগ্রহণে একটি জরিপের ওপর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৭ বছরের মধ্যে ৬ কোটি ৯০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অপরদিকে ৮ কোটি ৩০ লাখ চাকরি হারার শঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি হারিয়ে যাবে, যা বর্তমান কর্মসংস্থানের ২ শতাংশ। 

আরও পড়ুন: দেশের ২৬ লাখ নারী-পুরুষ বেকার

ডব্লিউইএফ’র তথ্যমতে, ২০২৭ সালের মধ্যে চ্যাটজিপিটির মতো এআই’র ব্যবহার ৩০ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে ৩৪ শতাংশ ব্যবসাসম্পর্কিত কাজ যন্ত্রের সাহায্যে করা হচ্ছে।

এদিকে কোম্পানিগুলোকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা পুনর্বিবেচনা করতে হবে জানিয়ে ডব্লিউইএফ জানিয়েছে, কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের চেয়ে ‘এআই টুল ব্যবহারে দক্ষতা’ এখন কোম্পানিগুলোতে বড় করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, দেশে বর্তমানে প্রায় ২৬ লাখ তরুণ-তরুণী বেকার। বেকারের সংখ্যায় নারীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে পুরুষরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ এর প্রথম কোয়ার্টারের (জানুয়ারি-মার্চ) প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর ফল সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ১০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার। জরিপের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারত্ব ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।