পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হল না, সড়কে পড়ে রইল নতুন পোশাক

আরিফ কাজী
আরিফ কাজী  © সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের ষোলঘরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফ কাজীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে শরীয়তপুরের গ্রামে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ি পৌঁছানোর আগেই দুর্ঘটনায় থেমে যায় আরিফের জীবন। সড়কের উপর পড়ে ছিলো মা-বোনদের জন্য ক্রয় করা নতুন পোশাক।

আরিফ কাজী শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়ালকান্দী গ্রামের মৃত শাজাহান কাজীর ছেলে। ঈদের নতুন পোশাক নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ার উদ্দেশে পদ্মা ট্রাভেলসের একটি বাসে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা হয়। আসার পথেই বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত হয় আরিফ।

জানা গেছে, আরিফ ঢাকার ইসলামপুরে একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। তিনি নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়ালকান্দী গ্রামের মৃত শাজাহান কাজীর ছেলে।

আরিফ মুন্সীগঞ্জের ষোলঘরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

বড় ভাই জুয়েল কাজী বলেন, আমরা দুই ভাই এক বোন, আরিফ ছোট। মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটিতে ঢাকার ইসলাপুর থেকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এর আগে মায়ের জন্য বোনের জন্য ও ভাগ্নে-ভাগ্নীদের জন্য ঈদের নতুন জামা কাপড় কেনে। গতকাল আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বললে আমি ঈদের পরের দিন যাব বলে জানাই। তাই একাই সকালে রওনা হয় আরিফ।

নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ