‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অসম্মান ও কটাক্ষ করা অগ্রহণযোগ্য’

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিবৃতি
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিবৃতি  © সংগৃহীত

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অসম্মান ও কটাক্ষ করা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ১৫টি জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশন একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক মীর মাশরুর জামান রনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে, দেশের একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে নানা অজুহাতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের উপহাস, কটাক্ষ, অসম্মান এবং হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে। এ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি এবং তাদের সমগোত্রীয় রাজনৈতিক দল, কতিপয় পেশাজীবী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ। এদের মূল উদ্দেশ্য হল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা এবং জাতীয় জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জনকে আড়াল করা।

এতে আরও বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই উদ্দেশ্যপূর্ণ মহলের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ও প্রশ্নবিদ্ধ করায় সরকার আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম, বাক-স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের নামে বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক সমাজচেতনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও আক্রমণ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমরা গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি এবং যেকোন অজুহাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের অযাচিত হস্তক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছি।

বিবৃতি দাতা সংগঠনগুলো হলো- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট; বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান; জাতীয় কবিতা পরিষদ; বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ; বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ; বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ; বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা; বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ; বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ; বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ; আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র; অভিনয় শিল্পী সংঘ; বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার; বাংলাদেশ শিশু সংগঠন ঐক্যজোট  এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।


সর্বশেষ সংবাদ