শ্রেণিকক্ষে দুই শিক্ষকসহ ৩০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৩, ১২:২২ AM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩, ১২:২২ AM
নরসিংদীর মনোহরদীতে একটি বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষিকা ও ৩০ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁদের পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) উপজেলার চালাকচর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃহস্পতিবারও একইভাবে বিদ্যালয়টিতে ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আজকেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জনকে চিকিৎসার্থে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছে—মায়িশা (১৪), তামান্না (১৪), উর্মি (১৩), জ্যোতি(১৫) ও জোনাকী (১৬)।
স্কুলটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ রোববার সকাল থেকে সেখানে আবারও একইভাবে একের পর এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। তাদের কেউ মাথা ঝিমঝিম করে, কেউ কেউ মাথা ঘুরে, কেউ শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে মাত্র ২ জন ছেলে বাদবাকী সব শিক্ষার্থীই মেয়ে বলে জানা গেছে। এবার সে অসুস্থতায় যুক্ত হয়েছেন শান্তা ইসলাম ও জাহানারা ইয়াসমিন নামের স্কুলের দুই শিক্ষিকা। তবে তারাসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন ভালো আছেন। অভিভাবকরা তাদের বাড়ি নিয়ে গেছেন বলেও জানা যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা হোসেন জানান, রবিবার সকালে জাতীয় সংগীত পাঠ শেষে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই একে একে ৩০ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। পরে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাদের প্রাথমিক সেবা দেয়।
এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘মাস হিস্টিরিয়া’ নামে একটি রোগ আছে; যা আবহাওয়া পরিবর্তন ও মানসিক কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের রোগ হলে মেয়েরা সাধারণত হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যায় এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করীম এ প্রসঙ্গে জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে স্কুলটি ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার কারণ উদঘাটনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্কুলটির প্রধান শিক্ষককে নিয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে সকালের নাস্তা খেয়ে আসা এবং দুপুরের খাবার নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।