প্রতিবেশীর ছাদ থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি ‘হত্যা’

জেসি মাহমুদ
জেসি মাহমুদ  © ফাইল ছবি

প্রতিবেশীর বাসার ছাদ থেকে পড়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দবি করছে নিহতের পরিবার। তার নাম জেসি মাহমুদ; তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যকোর্টগাঁওয়ের সৌদি আরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে। আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসির বয়স ১৭ বছর।

মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তাকে অচেতন অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মেয়েটির মৃত্যু হয়।

আরিফ নামের এক তরুণ গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে নিহতের ভাই পরিচয় দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করে বলে জনিয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক। মেয়েটি অচেতন অবস্থায় থাকায় এবং তার অবস্থার অবনতি দেখা দেওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলেও জানান তিনি।

নিহতের বড় ভাই জিদান অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে ওরা আমার বোনকে বাসার ছাদে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলেছে। কিভাবে আমার বোন তাদের বাসার ছাদে গেল জানি না।

তিনি জানান, প্রতিবেশী আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় ফোন দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জানায়- আমার বোন হাসপাতালে আছে। সে তাদের বাসার ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এরপর আমি দ্রুত হাসপাতালে এসে বোনকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকায় রওনা হলে মুক্তারপুর সেতু পার হতেই দেখি তার শ্বাস-নিঃশ্বাস কাজ করছে না। তখন তাকে ঢাকা না নিয়ে মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালে ফিরে আসলে সে মারা গেছে বলে জানান চিকিৎসক।

অভিযোগের বিষয়ে বিজয়ের বাবা ও প্রতিবেশি বাসার মালিক আরিফুর রহমান জানান, বাসার ছাদ খোলা থাকে; আমরা বুঝতে পারছি না মেয়েটি কিভাবে ছাদে উঠেছে। সে লাফ দিয়েছে বলে আমি শুনেছি। এরপর আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছি বলেও জানান তিনি। শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর আরও বলেন, নিহতের পরিবারের করা অভিযোগ সত্য নয় তাদের বিরুদ্ধে।

মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। আমরা কাজ করছি পরিবারের হত্যার অভিযোগ এবং প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য দুটি সূত্র ধরেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে ঘটনাটি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার পর বিজয় পলাতক থাকলেও তার বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ