করতোয়া নৌকাডুবি: এসএসসি পরীক্ষার্থী বোনকে যেভাবে বাঁচাল ছোট ভাই

ঈশিতা ও তর্পণ
ঈশিতা ও তর্পণ  © সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় কিভাবে বেঁচে ফিরেছেন তারই বর্ণনা দিলেন ঈশিতা ও তর্পণ।

মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামের কৈলাশ ও সুচিত্রা দম্পতির সন্তান ঈশিতা ও তর্পণ। তারা দুজনে মাড়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঈশিতা এবার চলমান এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে আর তর্পণ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তারা জানান, এক মাস আগে থেকেই তারা পরিকল্পনা করে আসছিলেন নদীর অপর পাড়ে মহালয়া দেখতে যাবে। নতুন জামা-কাপড় পরে দুপুরের আগেই আউলিয়া ঘাটে চলে যান তারা। ওঠার পর কিছুদূর যেতেই নৌকায় পানি উঠতে শুরু করে। ঘাট থেকে ৫০০ গজ যাওয়ার পর ডুবে যায় নৌকাটি। ডুবতে থাকেন ঈশিতা ও তর্পণও।

আরও পড়ুন: ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, চাকরিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথেই প্রাণ গেল যুবকের।

এসময়, পানিতে ডুবে থাকতে দেখে সাঁতরে গিয়ে বড় বোনকে উদ্ধার করে তর্পণ। ঈশিতা জানায়, আমি সাঁতার জানতাম। তবে আমার ওড়নায় পা দুটো আটকে যাওয়ায় ডুবে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর ছোট ভাই গিয়ে আমাকে টেনে একটা নৌকার কাছে নিয়ে যায়। নৌকাটাতে ওঠার পর আর জ্ঞান ছিল না। পরে বোদা হাসপাতালে গিয়ে জ্ঞান ফিরছে। 

ঈশিতার ভাই তর্পণ জানায়, নৌকা ডুবে যাওয়ার পর আমি সাঁতার কাটতে থাকি। পাশে আমার বড় বোন হাবুডুবু খাচ্ছিল। আমি সাঁতরে তার কাছে যাই। বোনের একটা হাত ধরে তাকে নিয়ে সাঁতরাতে থাকি। পরে একটা নৌকা আসলে সেটাতে করে ঘাটে আসি। 

ভয়াবহ নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। তাদের উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ