‘ডাক্তারদের অবসর সময়টুকু প্রিয়জনদের দেওয়া উচিত’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪৯ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪৯ PM
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা বলেছেন, চিকিৎসকরা যে সময়টুকু অবসর পান সেই সময়টুকু তাদের প্রিয়জনদের দেওয়া দরকার।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢামেকে বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক পরিষদ ও মহিলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘অদিতি সরকারের চলে যাওয়া ও নারীর বিপন্নতা সচেতনাতমূলক’ আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ঢামেক অধ্যক্ষ বলেন, চিকিৎসক অদিতির বেঁচে থাকার জন্য চোখের সামনে বাবা-মা ছিল, সন্তানরা ছিল, তাদের কথা চিন্তা করে সে এ পথ থেকে সরে আসতে পারত। একজন চিকিৎসকের কাছে মানুষের হক আছে, মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি চিকিৎসকদের দায়িত্ব আছে। একজন মানুষের বেঁচে থাকার অনেক কারণ রয়েছে। এজন্য অনেক কারণের দিকে তাকিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ দিন বন্ধ থাকলে কোনো ক্ষতি হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, সব জায়গায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে কাজ করার জন্য চেষ্টা করেছিল অদিতি। সে সব জায়গায় ভালো পারফর্ম করতে চেয়েছে, কিন্তু নিজের প্রতি ভালোভাবে যত্ন নেয়নি। সে যেটির অধীর আগ্রহে থাকতো, তা হলো স্বামীর ভালোবাসা। সে এ ভালোবাসা পায়নি।
স্বামীদেরকে পরামর্শ দিয়ে ডা. টিটো মিঞা বলেন, ‘স্ত্রী ও সংসারকে ভালোবাসা কোনো বিনিয়োগ না। পরিবারকে অনেকক্ষণ সময় দিতে হবে বিষয়টি এ রকম না। তবে কোয়ালিটি সময় দিতে হবে। চিকিৎসকদের সময় নেই, এটি যেমন সত্য, তেমনি যতটুকু সময় আছে ততটুকু স্ত্রী ও পরিবারকে দেওয়া হলে কোনো অভিযোগ থাকে না। পরিবারে সবাই সবাইকে সম্মান করতে হবে। এর বাইরে ভালো বন্ধু দরকার আছে। যে কেউ ভালো বন্ধু হতে পারে, তবে বন্ধুকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে হবে।’
‘আমরা যতটুকু সময় পাই, তা পরিবার ও প্রিয়জনের জন্য ব্যয় করবো। তাহলে অনেক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে। আত্মহনন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মহত্যা অবশ্যই প্রতিরোধ করা যায়। অদিতির মৃত্যুর জন্য আইনি তদন্ত হবে, রহস্য উদঘাটন হবে। তবে আজকের আয়োজন হলো সামাজিক তদন্ত। এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে। প্রত্যেকের উচিত নিজের প্রতি খেয়াল রাখা’, যোগ করেন ডা. ঢামেক অধ্যক্ষ।