ইতিকাফে না বসায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধর, শিক্ষককে অব্যাহতি
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ PM , আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ PM
ইতিকাফে না বসার কারণে ভোলার চরফ্যাশনে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হাত ও মুখ বেঁধে অমানবিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার দুলারহাট থানার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ মাদ্রাসায় ২০ রমযান থেকে ইতিকাফে না বসায় মাদ্রাসা ছাত্র ইয়ামিনকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের কক্ষে এই ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইয়ামিন (১৩) উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। সে আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র ইয়ামিনের বাবা দুলারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইয়ামিন চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মাদ্রাসা ছাত্র ইয়ামিন ও তার বাবা মোহাম্মদ হোসেনের অভিযোগ, তার মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি শামিম ওমরা হজ্ব করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। ইয়ামিনকে ২০ রমজানে ইতিকাফে বসতে বলেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিব। ইয়ামিন ইতিকাফে না বসে বাসায় চলে যান এবং ২০ রমজান রাতে বাসায় থাকেন।
সোমবার সকালে ইয়ামিন মাদ্রাসায় আসলে শিক্ষক হাবিব টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে বেধরক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত করেন। আহত অবস্থায় ইয়ামিনকে সোমবার তারবারির পর থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় আবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক হাবিব। মঙ্গলবার বিকালে ইয়ামিনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন খবর পেয়ে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং দুলারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাবিব পলাতক থাকার কারণে এবং তার মোবাইল ফেলে একাধিক বার চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম জানান, মাদরাসার ছাত্র ইয়ামিনকে মারধর করার কারণে সহকারী শিক্ষক হাবিবকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোহতামিম সাহেব সৌদি আরব থেকে ওমরা হজ্ব করে দেশে আসলেই হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি,) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।