কওমি থেকে আলিয়া হয়ে ঢাবি—৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া তারীফের দীর্ঘ যাত্রা

তানভীর আহমাদ তারীফ
তানভীর আহমাদ তারীফ  © টিডিসি সম্পাদিত

ময়মনসিংহের মোমেনশাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছেন তানভীর আহমাদ তারীফ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৫১ম (মানবিক বিভাগ) হন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ২২তম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ১৩ তমসহ বিইউপির এফএএসএস ইউনিটে ৬৩তম এবং এফএসএসএস ইউনিটে ৮৫তম হয়েছেন। কওমি মাদ্রাসা থেকে আলিয়া, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে—ভিন্ন ধরনের জার্নি, খাপ খাইয়ে নেওয়ার গল্প নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের। তার কথাগুলো শুনেছেন—আমান উল্যাহ আলভী


ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আপনার অনুপ্রেরণা কী ছিল?
ভর্তি প্রস্তুতির পুরো যাত্রায় আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন আমার মা-বাবার দোয়া ও স্বপ্ন। পাশাপাশি আমার বড় দুই বোন ও ভগ্নিপতিদের উৎসাহ ও নীরব সাপোর্ট, আর শিক্ষক ও আত্মীয়স্বজনদের ভালোবাসা ও প্রত্যাশা আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাদের দোয়া আমার প্রতিদিনের পথচলার রসদ ছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়ার ইচ্ছাও ছিল অন্যতম এক অনুপ্রেরণা।

কওমি মাদ্রাসা থেকে আলিয়া, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে—ভিন্ন ধরনের জার্নি, খাপ খাইয়ে নিলেন কীভাবে?
মূলত আমি আগাগোড়া কওমি অঙ্গনের সন্তান। আমার শিক্ষাজীবনের শেকড় নুরানি থেকে শুরু হয়ে হিফজ, আরবি ভাষা ও সাহিত্যে ডিপ্লোমা, তাকমীল (দাওরায়ে হাদিস) থেকে ইফতা পর্যন্ত বিস্তৃত পথ সবই কওমি ধারার সাথে সম্পৃক্ত। তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো কওমি সনদের কার্যকর কোনো স্বীকৃতি নেই। সমাজের বৃহত্তর খেদমতে অংশগ্রহণ করতে চাইলে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অফিসিয়াল স্বীকৃতির দরকার হয়। 

সে কারণেই সরকারি মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিয়েছি। যেহেতু কওমির পড়াশোনা চলমান ছিল তাই আলাদাভাবে আলিয়ায় ক্লাস বা অন্য কোনো কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা হয়নি। সকল নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করে শুধু পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও চেষ্টা করব সকল অযাচিত বিষয় থেকে দূরে থেকে একজন ট্র্যাডিশনাল হাফেজ ও মাওলানা হিসেবে নিজের মূল পরিচয়, ঐতিহ্য ও আমল-আখলাক বজায় রেখে আধুনিক শিক্ষার জগতে যথাসম্ভব খাপ খাইয়ে চলতে। আমি বিশ্বাস করি, নিজের শেকড় ভুলে নয় বরং সেটা আঁকড়ে ধরেও নতুন কিছু শেখা যায়, নতুন পথে চলা যায়।

হাফেজ, মাওলানা, মুফতি হওয়ার পরেও সাধারণ শিক্ষায় কেন?
ভাই, ‘মুফতি’ লকবটা আমার জন্য একটু বেশি ভারী—দারুল ইফতায় উস্তাদদের দরসে কিছু সময় বসেছি, তাঁদের সাহচর্যে কিছু বরকত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শরয়িভাবে মুফতি হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। পরিচয়ের খাতিরে কেউ বললেও আমি নিজেকে বরং একজন তালিবে ইলম হিসেবেই দেখতে পছন্দ করি। দীনি ইলম যতটুকু আল্লাহ ত’আলা দিয়েছেন সেটাকে নিজের জীবন গঠন ও পরিচালনার নিয়তে গ্রহণ করেছি। আমি মনে করি একজন মুসলিমের আসল লক্ষ্য আল্লাহর দ্বীনকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা, মানুষকে ইমানের পথে দাওয়াত দেওয়া। এটা যে কোনো পেশা থেকেই হতে পারে, যে কোনো পড়াশোনার মাধ্যমেই সম্ভব। যদিও একনিষ্ঠভাবে শুধু দীনিশিক্ষায় নিয়োজিত থাকতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করতাম, তবে আল্লাহ তাআলা যেহেতু সময় ও সুযোগ দিয়েছেন, তাই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করাই শোকরিয়া আদায়ের মাধ্যম মনে করেছি। 

এক্ষেত্রে প্রথম যুগের ইসলামি স্কলার যাঁরা চিকিৎসা, গণিত, দর্শন, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞানসহ সব ক্ষেত্রেই যারা অগ্রণী ছিলেন, তাঁদের জীবন আমাকে প্রেরণা দেয়। আর একটা বিষয় হচ্ছে আমি চাই তাওহীদ, আখলাক, তাকওয়া ও ইখলাসের যেই আদর্শ উলামায়ে কেরাম থেকে আমরা শিখি সেই আদর্শ যেন শুধু মসজিদ-মাদ্রাসার গণ্ডি বা সমাজের একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের মধ্যে আটকে না থেকে সমাজের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি পেশায় ছড়িয়ে যায়। আমি আমার মা-বাবা ও পরিবারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে দীনি ও দুনিয়াবি উভয় শিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও সমর্থন দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: বাবার ইচ্ছেতেই আইন নিয়ে পড়ার স্বপ্ন, প্রথমবার সুযোগ না পেলেও সেকেন্ড টাইমে বাজিমাত

প্রস্তুতিকালীন সময় কীভাবে পড়াশোনা করতেন?
মাদ্রাসা জীবন থেকেই সাধারণত যে রুটিন ফলো করতাম সেটাকেই ভর্তি প্রস্তুতিকালীন নিজের মতো করে একটু সাজিয়ে নিয়েছিলাম। তবে যতটুকুই পড়তাম নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করতাম। আর ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু মেধা ও যথাযথ পরিশ্রমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত অনুশীলনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাই বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচুর অনুশীলনী চালিয়ে গেছি। সেই সাথে ভর্তি প্রস্তুতির সহায়তার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম স্কুল অফ এক্সিলেন্সের সাথে যুক্ত ছিলাম। সেখানের শিক্ষক ও মেন্টরদের সার্বিক সহযোগিতা ও গাইডলাইন আমার প্রস্তুতিকালীন আমার পড়াশোনা গুছিয়ে আনতে অনেক সাহায্য করেছিল।

প্রস্তুতি সময়ের হতাশা কীভাবে সামলাতেন?
সত্যি বলতে, প্রচলিত অর্থে হতাশা বলতে যা বোঝায় তা কখনোই তেমনভাবে কাজ করেনি আমার মধ্যে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, একাডেমিক ভালো বা খারাপ করা জীবনের মূল মানে নির্ধারণ করে না। কুরআন-হাদিসের আলোকে আসাতিযায়ে কেরাম থেকে পাওয়া আমার সবচেয়ে দামি অনুধাবন হচ্ছে আমার জীবনের উদ্দেশ্য অনেক বড়, অনেক চিরন্তন। সে হিসেবে আমি স্পষ্ট ধারণা রাখি আমি জানি আমার আসল গন্তব্য কোথায়, আর সেটাই আমাকে জীবনের যে কোনো পরিস্থিতিতে হতাশা থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। 

তবে একা একা প্রস্তুতি নিতে গিয়ে মাঝে মাঝে একটু একঘেয়ে লাগত, লো ফিল করতাম, এটা ঠিক। কোনো সহপাঠী বা বন্ধু পাশে থাকলে হয়ত পড়াশোনার বিষয়টা আরেকটু প্রাণবন্ত হতো। একজন সহপাঠী ছিল তবে সে পরে আর গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা করেনি। তবুও, যেহেতু আমি আমার পথ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ছিলাম, তাই সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যই সবসময় আমাকে মানসিকভাবে স্থির আর আত্মবিশ্বাসী রাখতে সাহায্য করেছে।

পরীক্ষার হলে কী কৌশল অবলম্বন করেছেন?
পরীক্ষার হলে আমার সবচেয়ে বড় কৌশল ছিল মাথা ঠান্ডা রাখা। যেভাবে আমি ঘরে প্র‍্যাকটিস করতাম, মক টেস্ট দিতাম একেবারে সেই মেজাজ নিয়েই পরীক্ষার হলে গিয়েছিলাম। প্রথমেই যেসব প্রশ্ন সহজ এবং জানা সেগুলো দ্রুত সলভ করেছি। এরপর যেগুলো একটু সময় চাই, সেগুলোর দিকে ফিরেছি। টাইম ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে আমি আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। প্রচুর প্র‍্যাকটিস আর মক পরীক্ষা দেওয়ার ফলে সময় বাঁচানোর কৌশল রপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই হলে খুব একটা সময় নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয়নি, বেশ আগেভাগেই মূল প্রশ্নগুলোর উত্তর শেষ করে ফেলতে পেরেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। আর একটা বিষয়ে আমি খুব সচেতন ছিলাম, যে প্রশ্নের উত্তর একদমই জানা নেই, সেটাতে সময় নষ্ট করিনি। কারণ পরীক্ষার হলে সেকেন্ডের ভগ্নাংশও অনেক মূল্যবান।

সঠিক গাইডলাইন ও স্ট্র্যাটেজি ফলো করে নিয়মিত পড়াশোনা ও পরিশ্রম এবং প্রচুর অনুশীলন হতে পারে তোমার সাফল্যের সোপান। তাকদিরের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সঠিক পথে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে। অবশ্যই দৈনন্দিন ইবাদত, নিজের শারীরিক মানসিক সুস্থতার দিকে নজর রাখবে সবার আগে। কখনো হতাশা আসলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেতানভীর আহমাদ তারীফ, ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় কলা ইউনিটে ৫১তম (মানবিক)।

কোন বিষয়ে পড়তে চান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বড়দের পরামর্শ অনুযায়ী বিস্তৃত খেদমতের সুযোগ লাভের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে কুরআনি শিক্ষার খেদমতে নিয়োজিত থাকার স্বপ্ন লালন করি, পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শরীয়াহ আইন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। সেই সাথে একজন আদর্শ আইনজীবী হয়ে মজলুম ও অসহায়দের অধিকার রক্ষার লড়াই এবং শরয়ী মূল্যবোধের আলোকে আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই। তবে ভবিষ্যৎ কর্ম বা ক্যারিয়ার যেটাই হোক না কেন একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে দুনিয়ার জীবন কাটিয়ে ইমানের সাথে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি আল্লাহর দরবারে এটুকুই চাওয়া।

ঢাবিতে সুযোগ না পেলে পরিকল্পনা কী ছিল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আমার প্রথম পছন্দ, তবে একমাত্র গন্তব্য নয়। আমি আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম এবং সেখানে ফলাফলও মোটামুটি সন্তোষজনক হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ২২তম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ১৩, বিইউপিতে এফএএসএস ইউনিটে ৬৩তম এবং এফএসএসএস ইউনিটে ৮৫তম স্থান অর্জন করেছিলাম। তাই ঢাবিতে সুযোগ না মিললে হয়ত সেগুলোর কোনো একটিতে ভর্তি হতাম। আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসলেও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনার ইচ্ছা আমার ছিলই, সেটা চালিয়ে যেতাম। পাশাপাশি টুকটাক লেখালেখি ও শিক্ষকতা করা এই দুটি কাজ তো আমার ভালোবাসার জায়গা, সেগুলোকেও চালিয়ে যাব।

পরবর্তীতে যারা পরীক্ষা দেবে, তাদের জন্য কিছু বলবেন?
তোমরা যারা সামনে পরীক্ষা দিবে একটা কথা মনে রেখো, প্রতিযোগিতা মানে শুধু অন্যদের হারানো না, নিজের আগের সংস্করণকে ছাড়িয়ে যাওয়াও। তাই সবার আগে নিজেকে জানো, নিজের গন্তব্য সম্পর্কে হৃদয়ে স্পষ্ট ছবি তৈরি করে সে অনুযায়ী প্ল্যান করো, রুটিন করো। সেই প্ল্যানে সফল হতে যা যা দরকার সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখো মাথায়। সঠিক গাইডলাইন ও স্ট্র্যাটেজি ফলো করে নিয়মিত পড়াশোনা ও পরিশ্রম এবং প্রচুর অনুশীলন হতে পারে তোমার সাফল্যের সোপান। তাকদিরের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সঠিক পথে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে। অবশ্যই দৈনন্দিন ইবাদত, নিজের শারীরিক মানসিক সুস্থতার দিকে নজর রাখবে সবার আগে। কখনো হতাশা আসলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে।

আরো পড়ুন: পরিশ্রম আর সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদই ছিল ঢাবিতে চান্স পাওয়া প্রান্তীর মূল চাবিকাঠি

আপনার চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের সহপাঠী হিসেবে পাবেন—কেমন যাবে বলে মনে হচ্ছে?
হ্যাঁ—বয়সের একটু পার্থক্য তো থাকছেই! কারণ আমি তো মাদ্রাসা থেকে হিফজ তাকমীলসহ কয়েকটি ডিগ্রি শেষ করে এসেছি। তাই আগেই ব্যাচমেটদের জানিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে। তবে এই অভিজ্ঞতা আমার নতুন না। কওমি মাদ্রাসায় পড়াকালেও একই ক্লাসে নানা বয়সী শিক্ষার্থীর সঙ্গে পড়েছি, সেখানে এই বৈচিত্র্যটা ছিল স্বাভাবিক। আমি মনে করি, জ্ঞানচর্চা কখনো বয়স দেখে হয় না—বরং নবীন সহপাঠীদের উদ্যম, তাদের সতেজ চিন্তা আমার জন্য যেমন অনুপ্রেরণা হবে, তেমনি আমার কিছুটা অভিজ্ঞতাও হয়ত তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। সব মিলিয়ে  পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটা শেখার পরিবেশ তৈরি হবে বলেই বিশ্বাস করি।


সর্বশেষ সংবাদ