রজতজয়ন্তীতেও ‘অপরিপূর্ণ’ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৮ AM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ PM
দুই যুগ পেরিয়ে রজতজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে দক্ষিণবঙ্গের প্রথম প্রতিষ্ঠিত সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। সমৃদ্ধি, সম্ভাবনা ও উদ্ভাবন পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিণত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এক বাতিঘরে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের রয়েছে প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রতি আশা, প্রত্যাশা কিংবা আকাঙ্ক্ষা। শিক্ষার্থীদের সেসকল আশা ও প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে পবিপ্রবি, সেটিই জানার চেষ্টা করেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা’
স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে যেদিন বিশ্ববিদ্যালয় নামক এক মহামঞ্চে পা রেখেছি সক্রেটিসের উক্তির মতো ‘নিজেকে জানার প্রারম্ভিকতা হয়তো সেখানেই শুরু হয়েছিলো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, পরিবেশ কিংবা সংস্কৃতি প্রতিটি জিনিসই এই সবুজ প্রাঙ্গণের শিক্ষার্থীদের জন্য জীবনের চলার পাথেয়। ২৪ বছর আগে কৃষি কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। বর্তমানে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার এক অপার সম্ভাবনাময় জ্ঞানস্বর্গ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তথা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আগামীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে পবিপ্রবি সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের কৃষি, প্রযুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় যেন এক উদ্দীপ্ত আশার প্রদীপ।
সম্প্রতি একাডেমিক কাউন্সিলে ‘আউটকাম বেজড কারিকুলাম’ পাশ হওয়ায় সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে। তবে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২ যুগ পেরোনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ তথা ডিগ্রির প্রচলন করা সকল শিক্ষার্থীদের দাবি। বর্তমানে পবিপ্রবির গবেষকদের গবেষণা ক্ষুদ্র ফসলের বীজ থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের লবণাক্ততা কিংবা জলামগ্নতা রোধে কৃষকের হাতে তুলে দিতে পারছে উন্নত খাদ্য শস্য, একইসাথে কৃষকের গবাদিপশুর প্রজনন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। এসব গবেষণা কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করতে পরিকল্পনামাফিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক বলা হলেও আবাসন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত হয়নি বলে আমি মনে করি। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহকে আরও পরিকল্পনা মাফিক পরিচালনা করলে ঠিক যেমন ক্লাস ও আবাসিক সমস্যা সমাধান হবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও সমুন্নত থাকবে। এ জন্য দরকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা।
পবিপ্রবি রজতজয়ন্তীর এ প্রাক্কালে এখানকার শিক্ষার্থীদের যেন শিক্ষার যথাযথ মান ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হয় সেটাই আমার প্রত্যাশা। সেশনজট কিংবা রাজনৈতিক অস্থিরতার বাঁধা কাটিয়ে ১১০ একরের এ পবিপ্রবির সামনে যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে, দিগন্তে ভেসে ওঠা লাল আভার সে স্বপ্নকে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ছুঁয়ে পৌঁছে যাবে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। আজকের ২৪ পেরোনো পবিপ্রবি তার শতবর্ষ উৎযাপন করবে এমনই হাজারো শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত আশার আলো হয়ে।
মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষি অনুষদ, পবিপ্রবি।
‘২৪ বছরেও অপরিপূর্ণই পবিপ্রবি’
অনেক আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থীর পদার্পণ হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজেকে প্রমাণ করা, দেশের কোনো অর্জন বয়ে আনা এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছানোর প্রেরণা থাকে সেই শিক্ষার্থীর। কিন্তু সেই স্বপ্নে ভাটা পড়ে, যখন শিক্ষার এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চরম অব্যবস্থাপনার স্বীকার হতে হয়। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু প্রত্যাশা থাকে। যেমন অত্যাধুনিক শ্রেণীকক্ষ, মানসম্মত লেকচার গ্যালারি, উন্নত ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও মনোরম পরিবেশ এবং উন্নত আবাসিক সুবিধা।
কিন্তু পবিপ্রবির ২৪ বছর পার হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা এখনো বঞ্চিত তাদের এই সকল প্রত্যাশা থেকে গেছে। অনেক শ্রেণীকক্ষে নেই কোনো সাউন্ড সিস্টেম, ঠিক মতো কাজ করে না মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টগুলো। কিছু ফ্যাকাল্টির শ্রেণীকক্ষে এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে তো তার বিপরীতে কিছু ফ্যাকাল্টির শ্রেণীকক্ষে ঠিক মতো ঘুরে না ফ্যানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো লেকচার গ্যালারি। ল্যাবরেটরিগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সামগ্রী। অন্যদিকে পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে যদি পবিপ্রবির বহিস্থ ক্যাম্পাসের দিকে লক্ষ্য করা যায়, এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মিলবে সেখানে। একদম নিগৃহীত অবস্থায় আছে শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক থেকে আবাসিক সর্বস্থানে পাওয়া যাবে অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি। এক কথায় চরম বৈষম্যের শিকার এই শিক্ষার্থীগুলো, যদিও এই শিক্ষার্থীরা জাতীয় মেধায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
মাহাদি হাসান, শিক্ষার্থী, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন।
‘মানসম্পন্ন শিক্ষা ও সুবিধা নিশ্চিত হোক আগামীর দিনগুলোতে’
পবিপ্রবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে সবুজে আচ্ছাদিত কোলাহল বিহীন ক্যাম্পাস। মানুষ হিসেবে আমরা সবাই প্রত্যাশা করি আমাদের চারপাশের মানুষ এবং প্রকৃতি দুইই যেন আমাদের অনুকূলে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তাই আমাদের কিছু আবদার বা প্রত্যাশা থেকে যায় আমাদের শ্রদ্ধেয় ভিসি মহোদয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। আমাদের একাডেমিক শিক্ষার মান ভালো হলেও অনেক দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
নেই পর্যাপ্ত বাস সুবিধা ১ ঘণ্টা পথ পুরোটা দাঁড়িয়ে যেতে হয়। পর্যাপ্ত হল সুবিধা না থাকায় গণরুমে থাকতে হচ্ছে দুই বছর, আবার একি রুমে থাকতে হচ্ছে অনধিক ৮-১০ জন করে। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে লাইব্রেরির চার তলায়। হলের রাস্তার বেহাল দশা যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য চরম দুর্ভোগের। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো টিএসসি সেখানে দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পবিপ্রবি টিএসসি। বাইরের দামি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যাপ্ত বাস সুবিধা, আবাসন সমস্যা সমাধান করে হলে পর্যাপ্ত সিটের ব্যবস্থা করা। ক্লাসরুম সংকট নিরসনে অতিরিক্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা। হলের রাস্তাগুলো সংস্কার করা এবং যথাসম্ভব দ্রুত পবিপ্রবির প্রাণ টিএসসি খোলার ব্যবস্থা করা। আজ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উক্ত সমস্যা গুলো খুব দ্রুত সমাধান করে শিক্ষা বান্ধব একটি ক্যাম্পাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতে আগামীর দিনগুলোতে ভিসি স্যার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অগ্রগামী ভূমিকা রাখবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।
সফিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ।
‘শিক্ষা ও গবেষণায় আরো এগিয়ে যাক পবিপ্রবি’
দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ পেরিয়ে ২৫ এ পদার্পণ করলো। হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে প্রিয় ক্যাম্পাস সগৌরবে তার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী দেশ, বিদেশে তাদের মেধার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনছে। এমন একটি বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গনে পড়বো, এটা আমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল। এখন আমি সেই স্বপ্নের একজন গর্বিত সদস্য। ভাবতেই একরাশ ভালো লাগা মনটাকে আনন্দ দেয়।
একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আমার ভাবনা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শতভাগ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হোক। সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে সুস্থ রাজনীতির চর্চা, খেলাধুলা, মুক্তচিন্তা, সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার পরিচয় খুব বেশিদিনের না হলেও, ১১০ একরের এই বিশালতার মাঝে আমিও একটি অংশ হতে পেরে অনেকাংশেই গর্ববোধ করি। শিক্ষা ও গবেষণায় পবিপ্রবি এগিয়ে যাবে বলে স্বপ্ন দেখি। পবিপ্রবির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। তবে এখন বেশি প্রত্যাশা থাকবে করোনায় দেড় বছরের সেশনজট দ্রুত কীভাবে কাটিয়ে উঠা যায় তার একটা মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করা।
জ্ঞান চর্চা ও উৎপাদনের সর্বোচ্চ এ বিদ্যাপীঠ আরো আরো সুনাম কুড়াক। দেশের সবক্ষেত্রে বিশ্বপরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ুক এখানের শিক্ষার্থীরা। ১১০ একরের ক্যাম্পাস দুটি হয়ে উঠুক শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষাজীবনের নির্ভরতার প্রদর্শক। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে ট্যাগলাইন হিসেবে যুক্ত হোক একটি শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান। প্রত্যাশা থাকবে, স্বপ্নের এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক হবে না বরং শিক্ষায়, জ্ঞানে, সংস্কৃতি, গবেষণায় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাপিয়ে যাবে।
সুমাইয়া আমিন, শিক্ষার্থী, এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী।
‘স্বপ্নের এ পথ চলায় ক্যাম্পাস হোক আরো শিক্ষার্থী বান্ধব’
বিশ্ববিদ্যালয় আদতে বড় স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। তাইতো স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্যই এত রাত জাগা, কঠিন ভর্তি যুদ্ধ অতিক্রম করা,নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সবারই উচ্চ প্রত্যাশা থাকে। আমার বেলায়ও তার ব্যতিক্রম নয়। স্কুলকলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাশাটা ছিল অনেক বেশিই। নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা, অপ্রকাশিত প্রতিভাগুলোকে বিকশিত করে নিজেকে অন্য রকম করে গড়ে তোলা। প্রকৃত উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণামূলক কাজের মাধ্যমে অজানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা।
কিন্তু প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে অনেক ব্যবধান। এখনো রয়েছি আশা নিরাশার দোলাচলে। ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক আবেগ তো সবারই থাকে। তবে সুন্দর গোছানো ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা শেষ হয়েছে বহিস্থ ক্যাম্পাস হওয়ার কারণে। তাই প্রত্যাশিত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বেলায়ও রয়েছি পিছিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের যেমন ভালো অবস্থান নেই, তেমনি নেই গবেষণামূলক শিক্ষার যথেষ্ট চর্চা। এ কারণেই গবেষণার মাধ্যমে নতুন কিছু জানার ইচ্ছা অনেকাংশেই দমিত হচ্ছে।
তবে শিক্ষকদের রয়েছে যথেষ্ট আন্তরিকতা। শেখার জন্য রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ সময়ে ল্যাবের ব্যবস্থা। এখানে এসে পেয়েছি একটি পরিবার। হলের গণরুমে সকলের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠার মাধ্যমে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে একে অপরকে পাশেই পাই। সাথে আছে সিনিয়র ভাইদের সকল ক্ষেত্রে সহায়তা ও বন্ধুসুলভ আচরণ। এ যেন আসলেই পরিবারের বাইরে আরো একটি পরিবার। প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি যাই থাক। তবুও এটাই আমার গর্বের জায়গা যে, আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের একজন গর্বিত শিক্ষার্থী। স্বপ্ন পূরণের এপথ চলায় শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা রেখে, প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে এটাই কামনা যে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে, শিক্ষা ও গবেষণায় অনেকদূর এগিয়ে যাক পবিপ্রবি।
কাজী মেহেদী হাসান রিদয়, শিক্ষার্থী, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন।