‘গুণগত মান ধরে রাখতে শিক্ষকেরাই কলেজের নিবেদিত প্রাণ’

অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া
অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া  © টিডিসি ফটো

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ ও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ। বরিশাল শহরে প্রখ্যাত সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত তার পিতা ব্রজমোহন দত্তের নামে ১৮৮৯ সালের ৪ জুন প্রতিষ্ঠা করেন কলেজটি। কালের বিবর্তনে সময়ের হাত ধরে এই কলেজটি আকৃষ্ট করছে বরিশালের সমাজ, সংস্কৃতি ও জনসাধারণকে।  ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া দায়িত্ব নেন ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। প্রাচীন এই কলেজটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কলেজ প্রতিনিধি জুনাইদ সিদ্দিকী

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিএম কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়নে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

গোলাম কিবরিয়া: দক্ষিণাঞ্চলের সেরা বিদ্যাপীঠ সরকারি বিএম কলেজ। সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিএম কলেজের শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কলেজের মান বজায় রাখতে কী কী মৌলিক বিষয় অনুসরণ করা হয়?

গোলাম কিবরিয়া: বিএম কলেজে আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের ইনহাউস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমও নজরদারিতে রাখতে ভিজিল্যান্স টিম তৎপর আছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিএম কলেজে পাঠদানের পাশাপাশি কোন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে? 

গোলাম কিবরিয়া: এ কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও ধর্মীয় জ্ঞানেও পারদর্শী। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়েও তারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। এ জন্য ক্যাম্পাসে ১৫ টির অধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কোন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পাঠদানের সুযোগ পান?

গোলাম কিবরিয়া: বর্তমানে কলেজের ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং অনলাইনভিত্তিক মেধার ভিত্তিতে ছেলেমেয়েরা এখান থেকে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ( সম্মান) এবং স্নাতকোত্তরে পাঠদানের সুযোগ পাচ্ছে। কলেজটিতে বর্তমানে ১৯ হাজার ৬৬৮ শিক্ষার্থী রয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে শিক্ষকেরা কোন ধরনের ভূমিকা পালন করছেন?

গোলাম কিবরিয়া: এ কলেজে ১৯১টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১৬৭ শিক্ষক। এই শিক্ষকেরাই কলেজে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের ২২টি বিভাগ, স্নাতকোত্তরের ২১ টি বিভাগ, ডিগ্রি পাস এবং উচ্চমাধ্যমিকে পাঠদান করেন। গুণগত মান ধরে রাখতে শিক্ষকেরাই কলেজের নিবেদিত প্রাণ।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিএম কলেজের সাফল্য রয়েছে কী কী? 

গোলাম কিবরিয়া: জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ অনুযায়ী বিএম কলেজ বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভাগের সেরা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন এ কলেজ থেকে। এ ছাড়া বিভাগে ৯ বার ও জেলা পর্যায়ে ১৫ বার শ্রেষ্ঠ হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে বিএম কলেজ। এ বছরও বিসিএসে ক্যাডার ও ননক্যাডার হিসেবে সুযোগ পেয়েছে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কী কী সীমাবদ্ধতা রয়েছে কলেজের কার্যক্রমে?

গোলাম কিবরিয়া: জলাবদ্ধতা দূর করা বিএম কলেজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ড্রেনের পানি ঢুকে মূল ক্যাম্পাস তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। কলেজের সাতটি হলে মাত্র ৩ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। একাডেমিক ভবনের সংকট রয়েছে। আরও একটি একাডেমিক ভবন হলে ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞানের মতো বড় বিভাগ পরিচালনা আরও সহজ হতো।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গোলাম কিবরিয়া: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ