সিভাসু ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ

দেশে কোভিড-১৯ এর পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন

লোগো
লোগো

করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট ( বিজেআরআই ) এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ল (সিভাসু)।

সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ৩টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ দুই সপ্তাহ ধরে নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং (এনজিএস) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে এই তথ্য বিন্যাস করেন। এতে আরো সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশন ডিজিজেস ( বিআইটিআইডি )

গবেষক দলের সদস্যরা হলেন- সিভাসু’র প্যাথলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. জুনায়েদ ছিদ্দিকী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদিব দাস, ডা. সিরাজুল ইসলাম, বিআইটিআইডি- এর প্রফেসর ডা. এম.এ. হাসান চৌধুরী, প্রফেসর ডা. শাকিল আহমেদ এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মো. শহীদুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন প্রমুখ।

গবেষকদলের প্রধান সমন্বয়ক সিভাসু’র উপাচার্য এই সফলতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন সরকারের বিভিন্ন মহল বিশেষত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়- এর সার্বিক সহযোগিতায় এই গবেষণা সফল হয়েছে – যা ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

জিনোম বিন্যাস উদঘাটনের ফলে নিম্নলিখিত গবেষণাসমূহ সম্ভবপর হবে-

(ক) কোন জেলায় কোন ধরনের ভাইরাস বিস্তার লাভ করেছে;
(খ) বর্তমানে কোন প্রজাতির ভাইরাস বাংলাদেশেরর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তার স্বরূপ, প্রকৃতি ও উৎপত্তিস্থল কোথায়;
(গ) সময়ের সাথে সাথে ভাইরাসের আনবিক গঠনের বিস্তারিত পরিবর্তন ও তার প্রভাব ;
(ঘ) ভবিষ্যত টীকা উৎপাদনে কোন প্রজাতির করোনাভাইরাস বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে;
(ঙ) ভাইরাসের পুনর্গঠন বা পরিবর্তনজনিত নতুন প্রজাতির উদ্ভবের সম্ভাবনা ও প্রভাব।


সর্বশেষ সংবাদ