জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে রংপুর বিভাগের শীর্ষ ১০ কলেজ

দিনাজপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী
দিনাজপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে রংপুর বিভাগের শীর্ষ ১০টি কলেজ। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করেন। র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কারমাইকেল কলেজ।

তালিকায় স্থান পাওয়া রংপুরের বাকি শীর্ষ ৯টি কলেজ হলো- দিনাজপুর সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, উত্তরবাংলা কলেজ, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, আদর্শ কলেজ, হাতীবান্ধা আলীমুদ্দিন কলেজ ও নীলফামারী সরকারি কলেজ।

১. কারমাইকেল কলেজ
১৯১৬ সালে কলেজটি রংপুরের ম্যাজিস্ট্রেট কালেক্টর জেএন গুপ্তা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে লর্ড ব্যারন কারমাইকেলের নামানুসারে কলেজটির নামকরণ করা হয় কারমাইকেল কলেজ। কলেজটি ৩০০ একর ভূমির উপর অবস্থিত। কলেজটিতে প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ছাত্রীদের জন্য ৩টি ও ছাত্রদের জন্য রয়েছে ৪টি আবাসিক হল রয়েছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের ৩টি অনুষদের মোট ১৮টি বিষয়ে পাঠদান চালু রয়েছে।

২. দিনাজপুর সরকারি কলেজ
দিনাজপুর সরকারি কলেজ বাংলাদেশের উত্তর জনপদ বৃহত্তর দিনাজপুরের একটি প্রাচীনতম ঐহিত্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি পুনর্ভবা নদীর পূর্ব তীরে শহরের উত্তর প্রান্তে ১৯৪২ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায় চালু রয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের মোট ১৮টি বিভাগ রয়েছে এই কলেজটিতে। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিক।

৩. কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ
এই কলেজটি কুড়িগ্রাম কলেজ নামে পরিচিত। ১৯৬১ সালে স্থাপিত এ কলেজে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু হলেও নানামুখী সংকট এবং সমস্যায় সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি, সম্মান ও মাষ্টার্স পর্যায় চালু রয়েছে। কলেজটিতে বর্তমানে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১১ হাজার ৩৯৭ জন। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দিন।

আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিভাগের শীর্ষ ১০ কলেজ

৪. সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ
সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব শালবন রংপুর বাংলাদেশের একটি সরকারি কলেজ। কলেজটিতে ১৩টি বিষয়ে স্নাতক পর্যায় চালু রয়েছে। মন্ত্রণালয়েরনির্দেশনা মোতাবেক কলেজ মাঠের পূর্ব প্রান্তে ০৬ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান।

৫. রংপুর সরকারি কলেজ
১৯৬৩ সালে রংপুরে প্রতিষ্ঠত একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটির যাত্রা লগ্ন থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বর্তমানে কলেজটিতে এইচএসসি, ডিগ্রি পাস কোর্স এবং ১২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজটিতে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৪৪০০ জন। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোশারফ হোসেন।

৬. উত্তরবাংলা কলেজ
উত্তরবাংলা কলেজ ১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রাক-মডেল পারফরমেন্স রাংকিংয়ে রংপুর বিভাগে বেসরকারিতে শ্রেষ্ঠ ও CEDP -র A ক্যাটেগরীভুক্ত কলেজ। এই কলেজে বর্তমানে প্রায় ৬০০০ জন  শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে মাস্টার্স, অনার্স, ডিগ্রি (পাস), এইচএসসি ও এইচএসসি (বিএম) কোর্সসমূহ চালু রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মোট ২টি আবাসিক হলের ব্যবস্থা রয়েছে। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ সরকার।

৭. গাইবান্ধা সরকারি কলেজ 
গাইবান্ধা সরকারি কলেজ বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৭ সালের ১৭ আগস্ট গাইবান্ধা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটিতে ৭১ জন প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রায় ১১৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে ১২.১২ একর জমির ওপর কলেজটি অবস্থিত।

৮. আদর্শ কলেজ
গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ গোবিন্দপুর গাইবান্ধা সদরে অবস্থিত। এই কলেজটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

৯. হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ
হাতীবান্ধা আলীমুদ্দিন কলেজ ও হাসপাতাল লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধায় অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটিতে ২০০ জন প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রায় ১০,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ মো. শামসুল হক। কলেজটির প্রাক্তন নাম ছিল আলিমুদ্দিন ডিগ্রী কলেজ।

১০. নীলফামারী সরকারি কলেজ
নীলফামারী সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটির ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটির মোট আয়তন ২৪.২৫ একর। কলেজটির বর্তমান শিক্ষার্থী প্রায় ১১,৬০০ জন। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়। কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ মো. দিদারুল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ