ছেলেকে মায়ের কিডনি দানের খবরে অন্য ব্যক্তির ছবি

ফেসবুক পোস্ট
ফেসবুক পোস্ট  © স্ক্রিনশট

কক্সবাজারে সালাহউদ্দিন নামের সদ্যবিবাহিত ছেলেকে কিডনি দিয়ে বাঁচালেন মা মর্তুজা বেগম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি খবরে সালাহ উদ্দিনের নামে অন্য ব্যক্তির ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

মায়ের কোন তুলনা হয়না নিজের কিডনি দিয়ে সদ্য-বিবাহিত ছেলেকে বাঁচালেন গর্ভধারিনী মা’ শিরোনামের একটি লিঙ্ক গত মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সিটি নিউজ নামক একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়। কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

ফেসবুক পোস্টে ও শেয়ার করা ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজারের পেকুয়ার ২৫ বছর বয়সী সৌদি আরব প্রবাসী সালাহউদ্দিনের কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা জানানো হয়। দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া সালাহ উদ্দিন তাঁর মা মর্তুজা বেগমের দান করা একটি কিডনিতে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে জানা যায়, খবরের বর্ণনার মিল থাকলেও অন্য এক কিডনি রোগীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এসব খবরে। ছবিটি মূলত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কিডনি রোগী সাইফুল ইসলামের। তাঁকে নিয়ে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘মায়ের দেয়া কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন ১৫ লক্ষ টাকা’ শিরোনামের এই খবরটিতে বলা হয়, মারাত্মক কিডনি রোগে আক্রান্ত সাইফুলের কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেয়া হলে তার মা নুরুন্নিসা বেগম কিডনি দিতে রাজি হন। তবে প্রতিবেদনটিতে কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দরকার বলে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়।

hhh (1)
কিডনি রোগী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট

অন্যদিকে সেই সালাহ উদ্দিনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। দৈনিক আমাদের সময়ে ‘ছেলেকে বাঁচাতে কিডনি দিলেন মা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে সালাহ উদ্দিন। ছেলের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য নিজের কিডনি দেন মা মর্তুজা বেগম। ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক শোয়াইব নোমানী বুধবার দুপুর ২টায় সালাহ উদ্দিনের কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। তিনি জানান, সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মা ছেলে দুজনই সুস্থ আছেন।’

সালাহ উদ্দিনের ছবি সংবলিত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট

 


সর্বশেষ সংবাদ