করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো যবিপ্রবি
- যশোর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:০৮ PM , আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৯ PM
করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন বিএ. ২.৭৫।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারের গবেষকদল যশোরের করোনা আক্রান্ত তিন ব্যক্তির সংগৃহীত নমুনা থেকে আংশিক সিকুয়েন্সের (স্পাইক প্রোটিন) মাধ্যমে নতুন এই উপধরণটি শনাক্ত করে।
যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানায়, নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত সবাই পুরুষ। যাদের একজনের বয়স ৫৫ বছর এবং বাকি দুজনের বয়স ৮৫ বছর। আক্রান্তদের একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং অপর দুজন বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের শরীরে জ্বর, গলাব্যাথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে তিন প্রস্তাব
গবেষকদলের তথ্যমতে বিএ ২.৭৫ 2.75 উপধরণে স্পাইক প্রোটিনে অমিক্রনের বিএ২ ধরণের মতোই মিউটেশন দেখা যায়।তবে তার সাথে দুইটি রিভার্সন মিউটেশন G4446S এবং R493Q দেখা যায়। অমিক্রনের এই উপধরণটি এ বছরের জুলাই মাসে প্রথমে ভারতে ধরা পড়ে। এছাড়া গত আগষ্ট মাসে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত করা হয়। টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও এই উপধরণ দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামী দিনে এই উপধরণটি বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য উপকরণের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
করোনার এই নতুন উপধরণ শনাক্তের বিষয়ে জিনোম সেন্টারের পরিচালক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই উপধরণটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক পরাসহ গুরুত্বের সাথে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি জানান, খুব দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে।
যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের নেতৃত্বে নতুন এই উপধরণ শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মোঃ আল ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস,মোঃ আলী আহসান সেতু প্রমুখ।