প্রথমবারের মতো মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৭:২৬ PM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৭:২৬ PM
প্রথমবারের মতো মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন এক গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের রক্তে এই ক্ষুদ্র কণা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বায়ু দূষণের কণাগুলো শরীরে প্রবেশ করছে এবং এর ফলে বছরে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার গার্ডিয়ান জানায়, বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে, কণাগুলো মানুষের শরীরে চলাচল করতে পারে এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জায়গা করে নিতে পারে। । ইতোমধ্যেই গবেষকরা গবেষণাগারে মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবকোষের ক্ষতি করে এমন প্রমাণও পেয়েছেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ প্রাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক পুরো পৃথিবীকে দূষিত করছে। মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে মহাসাগরের গভীর তলদেশও বাদ পড়ছে না। খাবার ও পানিসহ নিশ্বাসের সঙ্গে ক্ষুদ্র কণাটি গ্রহণ করছে মানুষ। ইতোমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মলে এই কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
গবেষণাটিতে বিজ্ঞানীরা ২২ জন অজ্ঞাত রক্তদাতাদের নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন। সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্বাস্থ্যের অধিকার। এদের মধ্যে ১৭ জনের দেহে প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। অর্ধেক নমুনায় পিইটি প্লাস্টিক পাওয়া গেছে- যা পানির বোতলে সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এক-তৃতীয়াংশের নমুনায় পাওয়া গেছে পলিস্টাইরিন- যা খাবার ও অন্যান্য পণ্য প্যাকেটজাত করতে ব্যবহৃত হয়। এক-চর্তুথাংশের নমুনায় পাওয়া গেছে প্লাস্টিক ব্যাগ নির্মাণে ব্যবহৃত পলিথিলিন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের মাঠ থেকে হাসপাতালের বেডে ঢাবি শিক্ষার্থী মোশাররফ
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয় ভিইউ আমস্টারডামের ইকোটক্সিকোলজিস্ট অধ্যাপক ডিক ভেথাক বলেন, আমাদের রক্তে যে পলিমার কণার উপস্থিতি রয়েছে তার প্রথম ইঙ্গিত আমাদের গবেষণা- এটি যুগান্তকারী ফলাফল। কিন্তু আমাদের গবেষণার ব্যপ্তি ও নমুনার সংখ্যা বাড়াতে হবে। একাধিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরও গবেষণা চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেশি। যেসব শিশুদের প্লাস্টিকের বোতলে খাওয়ানো হয় তাদের দেহে প্রতিদিনই কয়েক লাখ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা প্রবেশ করছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটিতে অর্থায়ন করেছে ডাচ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং প্লাস্টিক দূষণরোধে কাজ করা সামাজিক সংগঠন কমন সিজ।