করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ

দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে
দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে  © সংগৃহীত

দেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে গেল তিন সপ্তাহের মধ্যে আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরের পর করোনায় মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ৬২৭ জনে।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে ‘ক্ষমা’ লিখে আত্মহত্যা ঢাবি ছাত্রের

এই সময়ের মধ্যে শনাক্তের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুও। এমনকি গত এক সপ্তাহের মধ্যে গতকাল এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ৩০-এর নিচে নেমে এসেছিল। সেটি মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চতে গিয়ে ঠেকেছে।

আরও পড়ুন: স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উল্টো বেকায়দায় মামলাকারী

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ১৬ জনই ঢাকা বিভাগের। চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জন, খুলনা ও রাজশাহীর ৫ জন করে, সিলেটের ৩, ময়মনসিংহের ২ এবং রংপুরের ১ জন মারা গেছেন। বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি।

শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। তবে বয়স্ক ও হৃদ্‌রোগ, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশ ব্যক্তির বয়স ৬০ বছরের বেশি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর দুই বছর ধরে চলা এই মহামারির সংক্রমণ বাড়া-কমার মধ্যেই আছে। তবে, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আকার ধারণ করে গত বছরের জুন-জুলাইয়ে, করোনার ডেল্টা ধরণ ছড়িয়ে পড়ার সময়। আগস্টে সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও বছরের শেষের দিকে আবার ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ