চলতি মাসেই ‘রেমডেসিভির’ উৎপাদন শুরু করছে বেক্সিমকো

  © সংগৃহীত

চলতি মাসেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক ওষুধ রেমডেসিভিরের উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ভালো কাজ করছে ওষুধটি।

গত ৪ মে দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানায়, ছয়টি ওষুধ কোম্পানি কোভিড-১৯ এর জন্য রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোর একটি বেক্সিমকো। ইতিমধ্যে রেমডেসিভিরকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাপানেও প্রক্রিয়া চলছে অনুমোদন দেয়ার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেক্সিমকোর এক সিনিয়র নির্বাহী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, চলতি মাস থেকেই রেমডেসিভির উৎপাদন শুরু করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী বেক্সিমকো।

কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেন, তাদের উৎপাদিত রেমডেসিভির ইনজেকশন হিসেবে শিরায় পুশ করতে তৈরি হচ্ছে। একজন রোগীর পাঁচ থেকে ১১ বোতল ওষুধ গ্রহণ করতে হতে পারে। প্রতিটির দাম হতে পারে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে রোগীকে কী পরিমাণ ওষুধ দিতে হবে।

ওষুধের উৎপাদন খরচের একাংশ সরকার পরিশোধ করবে আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, কেবলমাত্র দেশে ব্যবহারের জন্য ওষুধটির উৎপাদন শুরু হবে।

গত ২৯ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে করোনা প্রতিরোধে রেমডেসিভির কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ’র পরিচালক এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। এর একদিন পর গত ১ মে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) রেমডেসিভিরকে জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

রেমডেসিভিরের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয় চীনে। পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রেও। দেশটির এপিডোমলজিস্ট অ্যান্থনি ফাউচি দাবি করেন, যেসব করোনা-রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে, তারা ৩০ শতাংশ দ্রুত সুস্থ হয়েছেন। ফাউচির দাবি থেকেই করোনা-যুদ্ধে নতুন আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

রেমডেসিভিরের মার্কিন ট্রায়ালে এক হাজার ৬৩ জন রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, ১০ দিনের সাধারণ চিকিৎসায় যা ফল মিলছে, পাঁচ দিনেই সেই কাজ হচ্ছে রেমডেসিভির ব্যবহারে।


সর্বশেষ সংবাদ