ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ৫২ দশমিক ৪ শতাংশের মাথায় একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে। এর মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা আসে।

আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা ভাবনার পেছনে প্রধান কারণ হলো ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা। এ সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায়, ১৬.২ শতাংশ বাবা-মায়ের সাথে অভিমানের ফলে, ৯.৭ শতাংশ প্রেমঘটিত বিষয়ে, ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে, অন্যরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করায় ৪.৩ শতাংশ এবং ৩০.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যান্য বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করার চিন্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা করেন ৫২.৪% বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

আজ ১০ সেপ্টেম্বর, ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস-২০২৪’। ২০০৩ সাল থেকে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যার প্রবণতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান দশম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে বিশ্বে কেউ না কেউ আত্মহত্যার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে। প্রতি বছর আত্মহত্যাজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখ, যার ৭৫ শতাংশই ঘটে নিম্ন ও নিম্নমধ্য আয়ের দেশগুলোতে। আত্মহত্যার তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম এবং ভারতের অবস্থান প্রথম।

আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় মোট ১৫৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মাঝে বয়সের পরিসীমা অনুযায়ী ১৭-২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৫৮০ জন বা ৩৬.৯৪ শতাংশ, ২৩-২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৯১৯ জন বা ৫৮.৫৩ শতাংশ এবং ২৭-৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৭১ জন বা ৪.৫৩ শতাংশ।

লিঙ্গ ভেদে ১৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৭৫৬ জন বা ৪৮.১৫ শতাংশ পুরুষ,  ৮১৩ জন বা ৫১.৭৮ শতাংশ নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন বা ০.০৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ২৫১ জন বা ১৬.০০ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ২৫৪ জন বা ১৬.২ শতাংশ, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ৩৬৯ জন বা ২৩.৪ শতাংশ, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ৩৪০ জন বা ২১.৭ শতাংশ, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলো ৩৪১ জন বা ২১.৭ শতাংশ এবং সদ্য গ্র্যাজুয়েট ছিলেন ১৫ জন বা ১.০০ শতাংশ।


সর্বশেষ সংবাদ